রাজ্য

ইভিএম পাঠ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

জঙ্গলমহলে বিনিয়োগ হচ্ছে ৭২ হাজার কোটি টাকা। লাখ লাখ যুবক, যুবতী আগামী দিনে কর্মসংস্থান পাবেন। পুরুলিয়ায় পাড়ার জনসভা থেকে এই কথাই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে আরও একবার পুরুলিয়ায় জনসভায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনটি জনসভার প্রথমটি পাড়ায়। পরের দুটি কাশীপুর ও রঘুনাথপুরে। কয়েকদিন আগেই নরেন্দ্র মোদী সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন, পুরুলিয়ায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে জল সংকট দূর হবে। মমতা উত্তর ফেরালেন। জল সমস্যা সমাধানের রুটম্যাপ তৈরির পাশাপাশিই বিজেপিকে বিঁধলেন গ্যাসের দাম অস্ত্রে।
প্রথম দফাতেই ভোট রয়েছে পুরুলিয়ায়। তার আগেই এদিন পুরুলিয়ার পারা, কাশীপুর, রঘুনাথপুরে নির্বাচনী প্রচারে জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রথম জনসভা পারা বিধানসভা কেন্দ্রের সগড়কা মাঠের মঞ্চ থেকেই প্রথম দফা ভোটগ্রহণের আগে পুরুলিয়াবাসীকে ইভিএম ব্যবহারের পাঠ পড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‌৩০টা ভোট হয়ে গেলেই ইভিএম মেশিন দু’‌বার অফ–অন করে নেবেন। ভোটের মেশিন যদি দেখেন খারাপ হয়ে গিয়েছে, তাহলে মেশিন ঠিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। মেশিন ঠিক হলে তারপরই ভোট দেবেন। কোনও তাড়াহুড়ো করবেন না।’‌
এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে বলেন, ‘‌এখানে দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সমস্যা ছিল। এখানে পানীয় জল প্রকল্প হয়েছে৷ ৩৩ হাজার টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। জেআইসিএ জল প্রকল্পে কাজ চলছে। সাত বছর হয়ে গেল। দুই বছর নেবে বলেছিল। এক বছরে আমাদের কাজ শেষ হবে। যাতে ২০২২ সালের মার্চ মাসে আরও ৮ লক্ষ মানুষ জল পাবে। পুরুলিয়ার টাউন ও ৫টি ব্লক পাবে। জল স্বপ্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ এখানে জমিতে, চাষ হয়না জমিতে, সেচের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও কিছু জমি বাছাই করা হয়েছে। এখানে ৫৮০০০ কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্প আনা হল। একাধিক সংযোগকারী রাস্তা হয়েছে। ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। তাতে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। জল কষ্ট দূর করার জন্যে ১০ ব্লকে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। পুরুলিয়া জেলার কিছু অংশ নিয়ে মাটি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ বেড়ে ২০০ দিন হয়ে যাবে।’‌
লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে আশ্চর্য উত্থান হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের। সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে ময়দানে নেমেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জঙ্গলমহলে সভাও করেছিলেন তিনি। এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তিনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, বিরিয়ানি থেকে চায়ে ঘুমের ওষুধ মিলিয়ে দিতে পারে! তাই বিজেপির হাতের খাবার খাবেন না। যাঁরা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে রয়েছেন, ভোটার তালিকা থেকে বিজেপি তাঁদের নাম কেটে দিতে পারে। তাই ভোট দেওয়ার জন্য তাঁদের রাজ্যে আসার আহ্বান জানান তৃণমূল নেত্রী। সবাইকে ফিরতে বলুন। চাকরির অভাব হবে না। আমি ব্যবস্থা করে দেব।