রাত পোহালেই নন্দীগ্রামের তেখালিতে সভা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিন লাখ জমায়েত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তেখালিতে সভা করবেন তখন প্রথমবার কলকাতার রাজপথে একসঙ্গে নামবেন দিলীপ ঘোষ–শুভেন্দু অধিকারী। অধিকারী পরিবারের গড়ে মুখ্যমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে শুভেন্দু। সুতরাং টানটান উত্তেজনা থাকবে কর্মব্যস্ত দিনের শুরুতেই।
এদিকে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাচ্ছেন না শিশির অধিকারী। সে কথা সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। যাচ্ছেন না দিব্যেন্দু অধিকারীও। সুতরাং নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় থাকছেন শুভেন্দুর বাবা–ভাই কেউই। রাজ্য–রাজনীতিতে যেটা তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিশির অধিকারী বলেন, ‘আমরা তো লস্ট কেস। দলের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে কেউ কোনও যোগাযোগ করেনি। তাই সভায় যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
অন্যদিকে টালিগঞ্জ মেট্রো থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রা হবে। পদযাত্রায় অংশ নেবেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, জেলা বিজেপি’র সভাপতি শঙ্কর শিকদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস তথা তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যার ব্যতিক্রম হয়নি শনিবারে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার সভাতেও। চন্দ্রকোণার সভা থেকে শুভেন্দু তোপ দাগেন, ভারতের সবচেয়ে সুবিধাবাদী দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সুবিধাবাদী নেত্রী তাদের দলনেত্রী। স্বাস্থ্যসাথী, পথশ্রী নামে ঢপের চপ চলছে! ঢপবাজ, ফ্রড!
কিছুদিন আগেই দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিশির অধিকারীকে। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের প্রতি কড়া হচ্ছিল তৃণমূল। প্রথমে কাঁথি পরিষদের পদ থেকে সরানো হয় সৌমেন্দু অধিকারীকে। তারপর জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শিশির অধিকারীকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু হুঙ্কার দিয়েছিলেন, এখনও তো বাসন্তী পুজোটা আসেনি, রামনবমী আসেনি। রামনবমীটা আসতে দিন। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। তাহলে কী এবার শান্তিকুঞ্জে পদ্ম ফুটবে? উঠছে প্রশ্ন।