জেলা

৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে মমতা

শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য এখন পূর্ব মেদিনীপুর। কারণ এখন দু’‌জনেরই প্রমাণ করার বিষয় কার ক্যারিশ্মায় ভোট দেয় মানুষ। গত সপ্তাহে দলবদলের সভা থেকেই নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রীতিমতো হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ‘ভাইপো হঠাও’। হালকা চালে হলেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তারপরই বুধবার শুভেন্দুর শক্ত ঘাঁটি কাঁথিতে একটি বিশাল জনসভা করেন সৌগত রায়–ফিরহাদ হাকিম। ওই সভায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে কড়া ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা। শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক বলতেও ছাড়াননি সৌগত। এবার আসরে নামছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা এবং এনডিএ পুরনো সম্পর্কের রেশ ধরেই তৃণমূল নেত্রীকে লাগাতার খোঁচা দিয়ে চলেছেন শুভেন্দু। বিগত কয়েক বছর ধরে এই একই ধরনের পন্থা অবলম্বন করে মমতাকে তুলোধনা করছেন বামেরা। সেই লাইনেই হাঁটতে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দুকে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শুভেন্দুর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত নন্দীগ্রামে এবার সভা করবেন মমতা। একুশের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নতুন বছরের শুরুতে প্রচারে ঝড় তুলতে তৃণমূলনেত্রী বেছে নিলেন নন্দীগ্রামকেই। আগামী ৭ জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রীর ওই সভা হবে নন্দীগ্রামের তেখালিতে। আজ কাঁথি এলাকায় বিজেপি’‌র জনসভা রয়েছে। সেখানেও শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে পাল্টা জবাব দেবেন বলে খবর। আর সবকিছু শুনে একবারে জবাব দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
৭ জানুয়ারির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে সেই ক্ষোভকে কাজে লাগান বা কী বার্তা দেন সেটাই এখন দেখার। শুভেন্দু ইতিমধ্যেই বিশ্বাসঘাতক কটাক্ষের জবাব দিয়ে বলেন, ‘‌আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে। কারা বলছে? ১৯৯৮ সালে যখন তৃণমূল প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এনডিএ’‌র শরিক ছিল তৃণমূল। ১৯৯৯ সালে আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল এনডিএর অংশীদার হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং আমি এক হাতে তৃণমূলের পতাকা এবং অন্য হাতে বিজেপির পতাকা ধরেছিলাম।’‌
মমতার সভাকে ঘিরে এখন থেকেই উত্তাল হয়েছে নন্দীগ্রাম, খেজুরি, তেখালি, ভাঙাবেড়ার মতো জায়গা। ২০০৩ সালে এই তেখালিতেই গুলিচালনায় মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। তার পরেই আন্দোলন নতুন চেহারা নেয়। তাই সভাস্থল হিসেবে তেখালিকেই বেছে নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।