বৃহস্পতিবার চারটি জনসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথমে হুগলির বলাগড়ে সভার পরে শ্রীরামপুরে জনসভা করেন তিনি। তাঁর এদিনের বক্তৃতাতেও উঠে এলো কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গ। সিআরপিএফের কোনও দোষ নেই। বিজেপির নির্দেশে জওয়ানরা অনেক কিছু করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু ওদের কোনও দোষ নেই বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ‘বিজেপি যতই চেষ্টা করুক, তৃণমূলের জয় নিশ্চিত।’
রাজ্যের বিধানসভা ভোটের চতুর্থ দফার আগে মমতা ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, পড়ুয়াদের স্মার্টফোন থেকে সমস্ত কিছুই করেছি। এত কাজ করার পরেও বিজেপি কীভাবে ভোট চায়? ওরা কী করেছে?’ শনিবার চতুর্থ দফায় ৪৪টি আসনে ভোট। তার মধ্যে রয়েছে হুগলির বলাগড়। নিয়ম অনুযায়ী বৃহস্পতিবারই প্রচারের শেষ দিন। এদিনই বলাগড়ে প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার জনসভা থেকে ‘সিআরপিএফদের ঘেরাও’ করার পরামর্শ দিলেও বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘জওয়ানদের কোনও দোষ নেই। কেন্দ্র তথা বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নির্দেশ দিচ্ছে প্রচারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর স্থানীয়দের ভয় দেখাতে। তাই বাধ্য হয়ে অনেককিছু করতে হচ্ছে তাঁদের।’
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও দোষ দিচ্ছেন না বলে জানিয়ে মমতা জানান, আমি দোষ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। অমিত শাহের নির্দেশে সব হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। বলছে, তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার কথা বলবে। ওদের কোনও দোষ নেই। আমি সুযোগ পেলে পরে ব্যবস্থা নেব। আইনত লড়ব, রাজনৈতিক ভাবেও লড়ব। কোথাও কোনও অশান্তি হলে সরাসরি থানায় যান। অভিযোগ দায়ের করুন।
তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘শ্রীরামপুরের প্রার্থী মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাই তাঁকেই আবার প্রার্থী করেছি। চাঁপদানিতে বিজেপিকে রফতানি আর তৃণমূলকে আমদানি করতে হবে। আবদুল মান্নানকে জেতাবেন না। ও সিপিএম–এর সঙ্গে মিলে আমাকে খুব জ্বালায়। তাই অরিন্দমকেই জেতাবেন।’
