রাজ্য

নির্বাচনের আগেই ফুরফুরা যাবেন মুখ্যমন্ত্রী

বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রার্থনা করতে ফুরফুরা শরিফ যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই কথা জানিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা হয় ত্বহার। নির্বাচনের মুখে ফুরফুরা শরিফের এই পিরজাদার মমতা–সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বাম–কংগ্রেসের সঙ্গে এখন জোটে গিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। যদিও বৈঠকে রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই দাবি করেছেন ত্বহা সিদ্দিকি।
আগামী ৬, ৭ ও ৮ মার্চ তিন দিন ফুরফুরা শরিফে ধর্মসভা অর্থাৎ উরস উৎসব রয়েছে। সেই উরস উৎসবে মমতাকে আমন্ত্রণ জানাতেই নবান্নে এসেছিলেন ত্বহা সিদ্দিকি। তিনি জানান, ওই তিন দিন লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় ফুরফুরা শরিফে। তাই ধর্মসভার প্রস্তুতি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। ত্বহা সিদ্দিকি আরও বলেন যে, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন নির্বাচনের আগে ৯৯ শতাংশ চেষ্টা করবেন ফুরফুরা শরিফে গিয়ে প্রার্থনা করে আসতে।’‌
দক্ষিণবঙ্গের সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশকে প্রভাবিত করে এই ফুরফুরা শরিফ। নির্বাচনের আগে সব দলই ফুরফুরার দ্বারস্থ হয়। এমনকী, বামেরাও ফুরফুরার সংস্পর্শ এড়ায় না। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে ফুরফুরার রাজনৈতিক সমর্থন মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই আছে। ত্বহা নিজেও একাধিকবার মমতাকে সমর্থনের কথা বলেছেন। ফুরফুরারই আরেক পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি আবার নতুন দল খুলে বসেছেন। সেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বাম–কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও আলোচনা করছে। এই পরিস্থিতিতে ত্বহাকে কাছে টেনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বার্তা দিতে পারে শাসকদল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নন্দীগ্রাম আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে নিজে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করেছেন, সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারে আইএসএফ। সূত্রের খবর, আব্বাস সিদ্দিকিকে নন্দীগ্রাম ও ভাঙন আসনটি ছেড়ে দিচ্ছে বামেরা।