দেশ ব্রেকিং নিউজ

‘‌যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদালতই নেবে’

প্রায় ৬ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেসের সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নারদ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রাজ্যের দুই মন্ত্রী–সহ চার হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদালতই নেবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সোজা নবান্ন যান তিনি।
সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদ কাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী–সহ চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সেখানে হাজির হয়েই সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, আগাম নোটিশ ছাড়াই এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফিরহাদ–সুব্রত–মদনদের বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকী তাঁকে গ্রেপ্তার করা না হলে নিজাম প্যালেস ছাড়বেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।
এই গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য–রাজনীতিতে কার্যত তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। গ্রেপ্তারির খবর পাওয়া মাত্রই নিজাম প্যালেসে যান রত্না চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের কন্যা, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ আরও অনেকে। এরপরই আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় সিবিআই দপ্তরে উঠে যান তিনি। প্রথমে কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। তারপর সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। আর দাবি করেন, যেভাবে এই চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা বেআইনি।
এদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা ডিআইজি, সিবিআইয়ের ঘরের সামনে কার্যত ধর্ণা দেন তিনি। মামলাটি ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ হওয়ার সময়ও নিজাম প্যালেসেই ছিলেন। তারপর এসে জানিয়ে দেন, ‘‌আমি কিছু বলব না। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদালতই নেবে।’‌ কিন্তু ততক্ষণে গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। রাজভবন ঘেরাও হয়ে যায়। সিবিআই দপ্তরের বাইরে ইট পড়তে থাকে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।