রাজ্য সরকার খরচ করে মন্দির সাজিয়ে দিয়েছে। কালীপুজোর আগেই মঙ্গলবার নবান্ন থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্য সরকার আগেই দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করে দিয়েছে। এবার ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড–সহ সৌন্দর্যায়ন করা হল। সবটাই রাজ্য সরকার নিজের অর্থ খরচ করেই।’ কয়েকদিন আগে এখানে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই কথাগুলি তাঁর দিকে তাক করেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্দির পরিচালক কুশল চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কালীপুজোর দিন আমার নামে মায়ের কাছে পুজো দিও।’ উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের এই নয়া প্রকল্পের রূপকার কেএমডিএ। তৈরি করা হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের জন্য ভোগ খাওয়ার জন্য ঘর। মন্দির চত্বরে বসানো হয়েছে শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণের ২৩ জন গৃহী ও ত্যাগী ভক্তদের ব্রোঞ্জের মূর্তি এবং আয়োজন করা হয়েছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড–সহ সৌন্দর্যায়নের নানা ব্যবস্থা।
এদিনই রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তাই নবান্ন সভাঘরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সুরজিৎ রাজ্যের পুলিশ–প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সামনেই কালীপুজো, ছটপুজো ও আরও নানা উৎসব রয়েছে। কলকাতা পুলিশ ও জেলা পুলিশ সমন্বয় বৈঠক করেছে। দুর্গাপুজোর মতো আগামী উৎসবগুলি যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সেদিকে আমাদের সকলকে নজর রাখতে হবে।’
এদিন ২২টি জেলায় ২৭১টি সেরা পুজোকে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিশ্ব বাংলা সম্মান তুলে দেন। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার ৯৬টি সেরা পুজোকে পুরস্কৃত করা হয়। কলকাতার পুজো কমিটিগুলিকে থানা থেকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
