রাজ্য

বাংলা–হিন্দিতে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ কালীপুজো সঙ্গে আলোর উৎসব দীপাবলি। করোনা আবহের কঠিন সময়ে বিধিনিষেধ মেনেই আলোর উৎসবে মেতে উঠেছেন রাজ্যের মানুষ। তার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এবার বাজি বিক্রি ও ফাটানো নিষিদ্ধ। দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোতেও থাকছে দর্শকশূন্য মণ্ডপ। তাই নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে এবারের কালীপুজো বেশ কিছুটা অন্যরকম। তবে রাজ্যবাসীর মনে যাতে বিষাদ নেমে না আসে তাই দুটি ভাষাতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই ফরম্যাট প্রথম। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেদিকে তাকিয়েই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিন কালীপুজো–দীপাবলি উপলক্ষ্যে সকালে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা–হিন্দি, দুই ভাষাতেই শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সকলের সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি। উৎসবের আবহে সবাইকে সতর্ক, সচেতন ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের মোবাইলে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট। এবারের ভোটে বাংলা বিজয়ের টার্গেট নিয়েছে বিজেপি। বাঙালি মন, ভাবাবেগ জয়ে কসুর করছে না বিজেপি। মহালয়ায় মোদী–শাহের রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তা থেকে শুরু করে ষষ্ঠীতে মোদীর বাংলায় ভাষণ দেখেছে আপামর বাঙালি। বাংলাতেও বসবাস করেন বেশকিছু হিন্দিভাষী মানুষজন। এবার তাঁদের জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং পুজো–উৎসবেও এখন যুক্ত হয়ে পড়েছে রাজনীতি বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে সবটাই ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে জনসংযোগের কৌশল। এদিন বাংলা ও হিন্দি, দুই ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তার মধ্যেও পাল্টা সেই কৌশলই দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা। বাঙালিদের পাশাপাশি রাজ্যের বাসিন্দা অবাঙালি মন জয়ের চেষ্টাতেই হিন্দিতেও শুভেচ্ছাবার্তা বলে অনেকের মত। অন্যান্যবারের মতো এবারও বাড়ির কালীপুজোয় সামিল হবেন মুখ্যমন্ত্রী।