রাজ্য

চমক ছাড়াই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কয়েকদিন আগেই সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠান ছোট করে করতে হবে। করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সব নিয়ম মানতে হবে। রাজ্যে তাই এই বছর স্বাধীনতা দিবস, ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠান হল অনাড়ম্বরভাবেই। কলকাতার রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার সকালে ধর্মতলায় নেতাজি মূর্তি এবং পুলিশ মেমোরিয়ালে পুষ্পস্তবক প্রদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর তিনি চলে আসেন রেড রোডে। করোনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে মাত্র ৪টে ট্যাবলো ছিল। একটি ট্যাবলো পুলিশের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ–এর। দ্বিতীয়টি হবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বাংলা মোদের গর্ব। এছাড়াও ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের মাস্ক বিলি সংক্রান্ত বিষয়ে ২টি ট্যাবলো ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া মন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র ফিরহাদ হাকিম উপস্থিত ছিলেন। আর উপস্থিত ছিলেন লোকায়ুক্ত অসীম রায় এবং বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে জাতীয় সংগীতের পর তেরঙা পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা আবহে রেড রোডের অনুষ্ঠানে এবার কাটছাঁট করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে একাধিক অনুষ্ঠান। রাজ্যের সংস্কৃতি দপ্তরের বাউল গানের একটি ট্যাবলো দেখা যায়। এদিন মোট ২৫ জন কোভিড যোদ্ধাকে সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক ৩ জন, নার্স ২ জন, ল্যাব টেকনিশিয়ান ১ জন, আশা কর্মী ২ জন, অ্যাম্বুল্যান্স চালক ১ জন, বিডিও ২ জন, শিক্ষক ২ জন, পুলিশ ৩ জন, হোম গার্ড ৩ জন, সিভিক ভলেন্টিয়ার ১ জন, সাফাইবন্ধু ২ জন, কোভিড যোদ্ধা ৩ জন। সাধারণ দর্শকদের বসার জায়গা করা হয়নি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সীমিত সংখ্যক অতিথিকে নিয়েই উদ্‌যাপন হয়েছে অনুষ্ঠান।