দেশ লিড নিউজ

‘‌নন্দীগ্রামে আমাকে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল’‌, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের মোদী সরকার ও বিজেপিকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‌ছাত্র রাজনীতি যুব রাজনীতি এমনই রাজনীতি যে শিকড়ের গভীরে নিমজ্জিত। আমি চাই ছাত্র যৌবন নতুন সমীকরণ হোক। তাই ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়া এই কাজ সম্পন্ন হতে পারে না।’‌

এরপরই তিনি উচ্চস্বরে বলেন, ‘‌দিল্লি যখন রাজনীতিতে পারে না তখন সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে লেলিয়ে দেয়। আমরা আসার পর ৩০টা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। ত্রিপুরা–অসমে–গুজরাট–উত্তর প্রদেশে সরকারি কর্মচারীরা ঠিকমতো মাইনে পায় না। ত্রিপুরায় ১০ হাজার শিক্ষক ছাঁটাই, বাংলায় এরকম হয় না। ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করেছি।’‌

এদিন তিনি জানিয়ে দেন, দেশকে বিক্রি করছে কেন্দ্র। কয়লা চুরির কেসে তৃণমূলকে ধরলে হবে? কয়লা তৃণমূলের নয়? কয়লা খাদান নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফ। তারপরেও রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। রাজনীতিতে লড়ুন অভিষেকের সঙ্গে পার্থর সঙ্গে। তুমি ইডি দেখালে আমি বস্তা ভরে ইডির কাছে কাগজ পাঠাবো। বিজেপি সরকার দানবীয়। দেশের মাটি কি বিক্রি করা যায়? ভোটের সময় যত মন্ত্রী নেতা এসেছিল আসানসোলে কোল মাফিয়াদের হোটেলে ছিল। রাজনীতিতে সৌজন্যতা বজায় রাখা দরকার। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি।

এদিন চিৎকার করে তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, গুজরাটের কম ইতিহাস আমরা জানি না। রাজনীতির সৌজন্যতা রাজনীতি। ত্রিপুরা–অসমে আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল। মানবাধিকার কমিশন বাংলায়, ত্রিপুরায় নয় কেন? রোজ ত্রিপুরায় আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। ভোট পরবর্তীতে ১৬ জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। হাথরসে তৃণমূলকে ঢুকতে বাধা। নির্বাচন আইন সংশোধন করুক কেন্দ্র। পিএম কেয়ার টাকা কোথায় গেল? সংসদ ভবন বানানো হচ্ছে অথচ ভ্যাকসিন নেই। মনে রাখবেন বিজেপির দুটো কাজ আর তা হচ্ছে গুলি চালানো একটা হচ্ছে গালি দেওয়া।

উচ্চগ্রামে নিজের আওয়াজকে নিয়ে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌ওরা চমৎকার কিছু জানে না। ওরা জানে শুধু মিথ্যার পর মিথ্যা বলতে। জোট বাধুন, তৈরি হন। উদ্ভব অরবিন্দর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। ভোটের সময় আমাকে নন্দীগ্রামে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ২০২৪ সালে দিল্লিতে খেলা হবে। খেলা হবে ত্রিপুরাতেও। মানুষের আয়নায় দেখা যাচ্ছে বিজেপির ভবিষ্যৎ। মানুষকে ফাঁকি দিলে ঠকতে হবে।’‌

অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিজেপিকে তোপ দেগে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‌ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে রোখা যাবে না৷ যে রাজ্যে পা রাখব সেটাই দখল করব। যেখানে যেখানে বিজেপি রয়েছে। সেখানে মানুষ অবহেলিত। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। সেই লক্ষ্যে অবিচল আমরা।’‌