বড়সড় রদবদল আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ এই নীতিও প্রযোজ্য হতে পারে দলে বলে সূত্রের খবর। এই পর্বে কয়েকটি জেলার সভাপতি পদ, শাখা সংগঠনে রদবদল এবং দলবদলু নেতাদের ছেড়ে যাওয়া সাংগঠনিক পদগুলির ‘ভবিষ্যৎ’ নির্ধারণ হওয়ার কথা রয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী ৫ জুন ইএম বাইপাসের ‘তৃণমূল ভবনে’ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দলের সাংগঠনিক স্তরের ওই রদবদল চূড়ান্ত হবে বলে খবর।
এখানে নব নির্বাচিত বিধায়ক, মন্ত্রী এবং সাংসদদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে এবারের ভোটযুদ্ধে টিম মমতার ‘সেনাপতি’ যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর উপস্থিত থাকবেন। জানা গিয়েছে, ‘অব কী বার ২০০ পার’—এই স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পরে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ফের ঘাসফুলে ভিড়তে চেয়ে দলে দলে আবেদন আসছে। ফিরে আসার আবেদনের সঙ্গে ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতির সঙ্গতে বিরক্তি, মানসিক যন্ত্রণা, ভুল হয়েছে—মতো নানা ‘উপমা’ সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থাপন পর্ব চলছে। এমনকী ‘ল্যান্ডস্লাইড’ জয়ের এই পর্বে যে সমস্ত জেলায় তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে, চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে তা নিয়েও।
দলীয় সূত্রের খবর, এক ব্যক্তি এক পদ—এই নীতি প্রয়োগ করার পক্ষে সায় রয়েছে অভিষেকেরও। নেত্রী নিজেও চাইছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে জোরদার ধাক্কা দেওয়ার মতো শক্তিশালী সংগঠন গড় তুলতে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ছাত্র, যুব, মহিলা, শ্রমিক এবং মূল সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই মুহূর্তে রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ মন্ত্রী রয়েছেন দলের জেলা সভাপতির পদেও। গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কাজের সঙ্গে সংগঠনের কাজে যাতে কোনও ‘সংঘাত’ না হয়, তার জন্য অন্য কাউকে সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতি করা যায় কি না চিন্তাভাবনা চলছে।