নন্দীগ্রামের নির্বাচনী সভা থেকে ফের নাম না করে শিশির–শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের ভূমি আন্দোলন নিয়ে মমতা এদিন বলেন, ‘নন্দীগ্রামে সিপিএমকে ডেনে এনেছিলেন এই বাপ–ব্যাটা। তাঁদের পুলিশের ড্রেস পরিয়ে ঢোকানো হয়েছিল। ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল সিপিএম ও অধিকারী পরিবারের যোগসাজশে। আর তাই অধিকারীর পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। কোনও মামলা করেনি সিপিএম।’ নন্দীগ্রাম আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানো নিয়ে ঠাকুরচকের সভায় আরও একধাপ সুর চড়িয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট। সেই ভোটের হটস্পট নন্দীগ্রাম। ইতিমধ্যেই সেখানে ঘাঁটি গেড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে দাঁড়িয়েই তোপ দাগলেন, ‘আজও তাই করছে। পুলিশের ড্রেস কিনে ক্যাডারদের সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাচ্ছে। আর বলছে বিজেপি–কো ভোট দো। ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে রোখা যাবে না। নন্দীগ্রাম নিয়ে মামলা হয়েছিল। সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কেবল অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পরই রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাল্টা জবাবে শিশির অধিকারীও তোপ দেগেছেন যে, সবটাই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা। তাই সেদিন যে পুলিশ অফিসাররা গুলি চালিয়েছিল, ক্ষমতায় এসেই তাঁদের উঁচু পদে নিয়োগ করেছিলেন। মমতার পাল্টা তোপ, ট্রলার থেকে শুরু করে হোটেল সব আছে। নেই শুধু মনুষ্যত্ব। আমি ভাবতে পারিনি যাকে একের পর এক মন্ত্রিত্ব দিয়েছি, ভাইকে মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান করেছি, এত কিছুর পর এখন বিজেপি ধরছে। যাঁরা সেদিন খুন করল, সিপিএমের হার্মাদ, তাঁরা আজকে বিজেপিতে। আর গদ্দার তাদের নেতা। যারা গণহত্যা করল, তাদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ল!
