বুধবারও ম্যারাথন ভোট প্রচারে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, ওন্দা ও বাঁকুড়ায় তিনটি জনসভা করছেন তিনি। এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগার পাশাপাশি, রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য সিপিএমকে দায়ী করেন মমতা। মোদীর মন্তব্যের কিছু সময় পরেই বিষ্ণপুরের সভা থেকে মোদীকে পালটা নিশানা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘বহিরাগত গুন্ডা কারা? জবাব দিন। বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে আসছে। যারা বাংলায় থাকেন তাঁদের বহিরাগত বলি না। সে রাজস্থানি হোক, তামিল হোক বা অন্য কেউ। উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের এখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। কপালে তিলক দিয়ে পান চিবোতে চিবোতে এখানে আসছে। বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করছে।’
তাঁর কথায়, সিপিএম হাতে করে নিয়ে এসেছে। এই সিপিএমের দল বিজেপিকে হাতে করে নিয়ে এসেছে। যারা সিপিএম করত তারাই এখন বিজেপি হয়েছে। আর আমাদের দু’একটা গদ্দার গিয়েছে। সে অনেক টাকা করেছে, টাকাগুলি লুকনোর জন্য বিজেপিকে ভাগ দিতে হবে ভেবে বিজেপিতে গিয়েছে। ভালোই হয়েছে। আমার ভরা গোয়াল থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। তিনি বলেন, ‘অন্য ফুল নয়, জোড়াফুলে ভোট দিন। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার সম্মান করি। কিন্তু মোদীর মতো এতবড় মিথ্যাবাদী দেখিনি। শুধু মিথ্যা কথা বলে। মোদী, শাহ, আদানি, তিনটি সিন্ডিকেট। আলু–পেঁয়াজ সব লুঠ করে নেবে। তিনজনে মিলে খাবে শুধু। সপ্তম পে কমিশনের কথা বলেছে বিজেপি। এদিকে ত্রিপুরায় প্রভিডেন্ট ফান্ড তুলে দিল। মিথ্যেবাদীর দল বিজেপি।’
উল্লেখ্য, বাংলায় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলে বারংবার সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, বহিরাগতদের বাংলা দখল করতে দেব না। মমতার দাবি, বাংলায় ভিন রাজ্য থেকে যারা আসে তাঁদের বহিরাগত বলি না। যারা শুধু ভোটের আগে আসে, তাদের বহিরাগত বলি। ভোট লুঠ করতে পারে ওরা। তাই পাহাড়া দিতে হবে। সব বিক্রি করে দিচ্ছে ওরা। রাজনৈতিকভাবে হারান বিজেপিকে। খেলা হবে, বিজেপি খালি হবে। ২৯১টা সিটে আমাকেই ভোট দেবেন। তবেই তো আপনাদের বিনামূল্যে চাল দিতে পারব। সুবিধা দিতে পারব। আমাকে চাইলে জোড়াফুলে ভোট দিন।
