দেশ ব্রেকিং নিউজ

‘‌গেস্ট হাউজে বাইরের পুলিশ’

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শেষ মুহূর্তের প্রচার যুদ্ধে শুভেন্দু আর মমতা রীতিমতো ইঞ্চিতে–ইঞ্চিতে লড়ছেন। আর নন্দীগ্রাম জিততে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের যে ঢোকানো হচ্ছে এলাকায়, তা নিয়ে ফের সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘‌বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশের পোশাক কেনা হচ্ছে, সেগুলি জড়ো করা হচ্ছে গেস্ট হাউজগুলিতে। বুঝতে পারছেন, কীভাবে বাইরের লোক ঢুকিয়ে অশান্তি বাঁধাতে চাইছে!’‌
এদিন নন্দীগ্রামের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‌গুন্ডারা গুন্ডামি করলে হাতা খুন্তি, ঝাড়ু দিয়ে আদর করে দিতে হবে। আপনারা মা–বোনেরা আন্দোলন করেছে, তা আমরা জানি। ভিন রাজ্যের পুলিশের উর্দি কিনছে। বিজেপির গুন্ডারা মোটরবাইক নিয়ে গুন্ডামি করছে। পুলিশ সাজিয়ে গোলমাল পাকাবে।’‌ এখন নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে তেত উঠেছে।
তাঁর অস্ত্র সেই মহিলারাই। মমতার কথায়, সকাল সকাল ভোট দেবেন। ওরা গুন্ডা নিয়ে ভয় দেখাবে। কিন্তু মনে রাখবেন, যাঁরা ভয় পায়, তাঁরাই ভয় দেখায়। আমি দেখতে চাই, আমার মা–বোনেদের শক্তি বেশি, নাকি বিহার–উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের শক্তি বেশি।’‌ মাস্ক না পরে গেলে দিল্লির কিছু পুলিশ ভোট দিতে দিচ্ছে না। আর হ্যাঁ, ওরা মেশিন খারাপ করে দিচ্ছে। তখন ছায়ায় দাঁড়াবেন, অপেক্ষা করবেন, ভোট কেন্দ্র ছেড়ে চলে যাবেন না। ভিভিপ্যাট মেশিনে খেয়াল রাখুন, কোথায় ভোট পড়ছে। গণনার দিন কারও থেকে কিছু খাবেন না। একমাস ইভিএম মেশিন পাহারা দিতে হবে জানান নেত্রী।
অধিকারী পরিবারকে এদিনও গদ্দার বলে আক্রমণ শানান তিনি। আক্ষেপের সুরে মমতা জানান, আমারই দোষ। ওঁদের প্রশাসনিক ও মন্ত্রীর পদ দেওয়ার পরে অনেক টাকা হয়েছে। আর এখন টাকা করে কোথায় যাবে, তাই বিজেপিকে ধরেছে। এত টাকা রাখবে কোথায়? পুলিশ সাজিয়ে গোলমাল পাকাবে। কেউ টাকা দিচ্ছে দেখলে খবর দিন, আমি পুরস্কার দেব।