রাজ্য

‘‌চিন্তার কোনও কারণ নেই’‌

বাগবাজারে বিধ্বংসী আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে যতদিন না ঘর তৈরি হচ্ছে ততদিন বাগবাজার উইমেন্স কলেজে অস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আলু এবং শিশুদের বিস্কুট ও দুধ দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অগ্নিদগ্ধ এলাকার মহিলা, পুরুষ এবং শিশুদের পোশাক এবং শীতকালের কথা মাথায় রেখে কম্বল দেওয়ার নির্দেশ তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসে বলেন, ‘‌সব আগের মতোই তৈরি করে দেওয়া হবে। গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবে পুরসভা। দেওয়া হবে খাদ্য–বস্ত্রও।’‌ বুধবার ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাগবাজারের হাজারহাত বস্তি। ১৫০ ঝুপড়ির মোট ৭০০ মানুষ ঘরহারা হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বাগবাজারের ভস্মীভূত এলাকায় তদারকিতে যান শশী পাঁজা। আর সাড়ে ১২টা নাগাদ বাগবাজারে পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
অগ্নিদগ্ধ এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন বস্তিবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের অভাব–অভিযোগের কথা শোনেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ২৭টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। দমকল কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার–সহ আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত সকলের কাজের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি করায় এমন জতুগৃহের চেহারা নিয়েছে এই এলাকা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ এবং কাল দু’‌দিন এলাকা পরিস্কারের কাজ হবে। যত শীঘ্র সম্ভব আগের অবস্থাতেই বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাসিন্দাদের অবিলম্বে ৫ কেজি চাল–ডাল–আলু–বিস্কুট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের জামাকাপড়, কম্বলও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিম ও শশী পাঁজাকে।
মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে হতাশ বস্তিবাসীরা। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে ঘরহারাদের যা যা প্রয়োজন সমস্ত দিয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাসই দিয়েছেন তিনি। এখন তাঁদের খাওয়ানোর দায়িত্বও সরকারের বলে জানিয়েছেন মমতা।