দেশ লিড নিউজ

‘‌সিআরপিএফ–কে ঘেরাও করে ভোট দিন‌’‌

কোচবিহারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, অমিত শাহের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিতে বাধার সৃষ্টি করছে। চতুর্থ দফা ভোটের আগে কোচবিহারে নির্বাচনী সভায় গিয়ে বিস্ফোরক নিদান দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, ‘‌সিআরপিএফ–কে ঘেরাও করে ভোট দিতে যান। কেন্দ্রীয় বাহিনী অশান্তির পাকানোর চেষ্টা করলে মহিলারা তাঁদের ঘেরাও করুন।’‌
কোচবিহারের সভা থেকে মমতা জানান, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভোট। কিন্তু ভোট এলেই কিছু পুলিশ বিজেপি হয়ে যায়। সবাই নয়। পুলিশের নেতারা এই কাজ করে। মঙ্গলবার আরামবাগে আমরা দেখে নিয়েছি। আরামবাগের ওসির রোল দেখেছি। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তৃতীয় দফা নির্বাচনেই মমতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন। টুইট করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। এদিন ফের একবার কোচবিহারের জনসভা থেকে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে একদিনের অতিথি বলে তোপ দাগেন। তাঁর আরও সংযোজন, তাঁরা তো ভোট মিটে গেলেই চলে যাবেন। তারপর তো আমরা থাকব।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মমতা বলেন, ‘‌সিআরপিএফ যদি ভোট দিতে বাধা দেয় তাহলে একদল মহিলা তাদের ঘিরে রাখবেন। অন্যরা ভোট দেবেন। আমি সিআরপিএফকে শ্রদ্ধা করি। ওরা রিয়েল জওয়ান। কিন্তু দে আর ডুইং নুইসেন্স। আমি বিজেপির সিআরপিএফকে রেসপেক্ট করি না। এরা মহিলাদের মারছে। মানুষকে হ্যারাস করছে।’‌ এই বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত এই ধরণের মন্তব্য করবেন ততই বিজেপির ভোট বাড়বে।’‌
তৃতীয় দফার ভোটে সন্ত্রাস করার অভিযোগ তুলে মমতা জানান, গতকাল এত অত্যাচার করেছে কি বলব! তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে বাঁশ দিয়ে মেরেছে। তার সিকিউরিটিকে বাঁশ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। গোঘাটে আমার বুথ প্রেসিডেন্টকে খুন করেছে। খানাকুলে আমাদের প্রার্থী নাজবুলকে পিটিয়েছে। আর মেয়েরা যাতে ভোট দিতে না পারে তার জন্য সেন্ট্রাল ফোর্স এসে বলেছে ভোট দেওয়া যাবে না। কী মা–বোনেরা? আপনাদের কেউ যদি বলে ভোট দেওয়া যাবে না শুনবেন? সাহস আছে? মনে রাখবেন শান্ত হওয়া ভালো। কেউ যদি দুষ্টুমি করে তাকেও থাপ্পড় দিতে হয়।