আজ পানাগড়ে পলিফিল্ম কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি এবং কীর্ণাহার থানার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে পুলিশ দিবস উপলক্ষে তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ পরিবারকে স্যালুট জানাই। বাংলাই প্রথম পুলিশ দিবস পালন করে। সাংবাদিক, পুলিশ, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদদের কোনও ছুটি নেই। পুলিশফোর্সের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবেন না। ১০০টা ভালো কাজ করতে গিয়ে একটা ভুল হতেই পারে। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপ করবেন না।’
ইণ্ডাস্টিয়াল পার্কে ৩৮ একর জমির ওপর তৈরি হবে পলিফিল্ম কারখানা। বেসরকারি বিনিয়োগ হবে প্রায় চারশো কোটির মতো বেশ কিছু কর্মসংস্থান হবে এখানে। দু’কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারের নাম নথিভুক্ত করেছে। সামাজিক প্রকল্পের নতুন লক্ষ শিল্প কারখানা। পরবর্তী শিল্পক্ষেত্র দেউচা পাচামি। দেউচা পাচামিতে তৈরি হবে বিদ্যুৎ প্রকল্প। ১০০ বছর বিদ্যুতের অভাব হবে না। শ্রিঘ্রই তাজপুর বন্দর চালু হবে। প্রতিমাসে শিল্প নিয়ে একটা মিটিং হবে কোন কাজ ফেলে রাখা যাবে না। পানাগড়ে ৫০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে। প্রথম পর্যায়ের জমি সরকারের হাতে আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, আগামী দু’বছরে অন্ডালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে। পরিকাঠামো দিয়ে সব সাহায্য করবে সরকার। আইটি সেক্টরে রাজ্য সেরা। ডেটা সেন্টার ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হবে। অমৃতসর ডানকুনি পণ্য করিডরে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ। শিল্প নিয়ে হাই পাওয়ার কমিটি গঠন। ওয়েস্টবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল বোর্ডের গঠন হবে। সব দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
চার বছরে ৫০০ মেগাওয়াটের ডেটা সেন্টার তৈরি করা হবে। উৎকর্ষ বাংলায় ছয় লক্ষ ছেলেমেয়ের ট্রেনিং হবে। রাজ্যে ৪ কোটি মানুষের টিকাকরণ। টিকাকরণের রাজ্য এগিয়ে। ভ্যাকসিন রাজ্যের হাতে নেই। কেন্দ্র পাঠালে আমরা টিকা বন্টন করতে পারব। শহরাঞ্চলে ৭৫ শতাংশ টিকা দেওয়া হয়েছে। বাংলায় কোন ভ্যাকসিন নষ্ট হয়নি। শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। ভ্যাকসিন থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না, ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে কেউ হুড়োহড়ি করবেন না। লক্ষী ভান্ডারের জন্য বাড়ছে সময়সীমা বলে জানান তিনি।