করোনা পরিস্থিতিতে এখন অনলাইন পড়া ও পরীক্ষা চলছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে অনলাইনে পড়াশোনার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবলেট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাবলেট দেওয়া সম্ভব নয়। এক লপ্তে এত কমসময়ে তা মিলবে না বলে মঙ্গলবার নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকল্প পথ হিসাবে তাই ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নির্বাচনের আগে মাস্টারস্টোক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
দ্বাদশ শ্রেনীতে যারা পড়ে তাদের বয়স ১৮। এবার বিধানসভা নির্বাচনে তারা নতুন ভোটার। সেদিক থেকে দেখতে গেলে নতুন ভোটারদের কাছে টানলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিপদের দিনে তিনি মুশকিল আসান হয়ে উঠলেন। আবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই ১৬৫০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এই বিজ্ঞপ্তি জারি এবং ইন্টারভিউয়ের ব্যাপারেও জানালেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য রিক্রুটমেন্ট নোটিশ জারি করবে প্রাইমারি এডুকেশন বোর্ড। ২০২১ সালের ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি ইন্টারভিউ হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অ্যাপয়নমেন্ট প্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। ৩১ জানুয়ারি অফলাইনে তৃতীয় টেট পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় বসবে আড়াই লক্ষ আবেদনকারী।’
১০ হাজার টাকা দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই মোবাইল বা ট্যাব কিনে নিতে পারবে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩ সপ্তাহে সবার অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে।’ এদিন তিনি আরও জানান, ১৫ বছর ধরে কর্মরত হোমগার্ড, কনস্টেবল, এসআইয়ের মতো পুলিশকর্মীরা নিজের জেলায় ফিরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। যতটা সম্ভব আমরা করে দেব বলেছি। পুলিশকর্মীদের থেকে প্রায় ৫০ হাজার আবেদন পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ৩৫ হাজার পুলিশকর্মীকে তাঁদের পছন্দের জেলায় বদলি করা হয়েছে। প্রাথমিক ও সেকেন্ডারি লেভেলের শিক্ষকদের বদলির ব্যাপারেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যেখানে কর্মখালি রয়েছে সেখানে শিক্ষকদের বাড়ির কাছে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া ১০১৬৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক বাড়ির কাছে বদলি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৬৪৬৬ জন শিক্ষকের হোম ডিস্ট্রিক্ট ট্রান্সফার অর্ডার হয়ে গিয়েছে। সেকেন্ডারি লেভেলে দু’রকম বদলির আবেদন পাওয়া গিয়েছে। ৫৫০২ জন শিক্ষক হোম ডিস্ট্রিক্ট ট্রান্সফারের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৩৮৫২ শিক্ষকের হোম ডিস্ট্রিক্ট ট্রান্সফার অর্ডার বেরিয়ে গিয়েছে। আর সেকেন্ডারি লেভেলে মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফারের দরখাস্ত জমা পড়েছিল ৪৫৯৪টি। এর মধ্যে ৪৪৯০টি আবেদন গৃহীত হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
