বৃহস্পতিবার মানবাধিকার দিবসে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, ‘রাজ্য মানবাধিকার রক্ষায় সচেষ্ট। এখন গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানোর একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মৌলিক অধিকার খণ্ডন করা হচ্ছে। মানুষের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে।’ একইসঙ্গে তাঁকে দেখা গেল, যদুবাবুর বাজারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে হাজির হলেন। তুলে ধরলেন সরকারি প্রকল্পের কথা। কীভাবে আমজনতার সেই প্রকল্পের অংশ হতে পারবেন, তাও বুঝিয়ে দিলেন। আসলে ভবানীপুরে জেপি নাড্ডা জনসংযোগ করে যাওয়ার আফটার এফেক্ট বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এই দিনে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেছেন, ‘গত সাড়ে ৯ বছরে রাজ্যে ১৯টি মানবাধিকার আদালত তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার রক্ষায় একাধিকবার প্রতিবাদ এবং আন্দোলন করেছি আমি। তার ফলে রাজ্যে ১৯৯৫ সালে মানবাধিকার কমিশন তৈরি হয়েছে।’ বেলা ১২টা নাগাদ যদুবাবু বাজারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে হঠাৎই হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাংলা সফরকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বাংলার পার্টি তৃণমূল। বিজেপি দিল্লির দল। ভোটার কার্ডে নাম না তুললে এনআরসি করে বিজেপি নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে।’
কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েও এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে অকল্পনীয় সমস্যার সম্মুখীন। কেন্দ্র প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিককে এককালীন ১০ হাজার টাকা সাহায্য করুক। সাহায্য করা হোক অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষদেরও। এক্ষেত্রে পিএম কেয়ার্স ফান্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।’ এদিন রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ওরা বলে এখানে আইন–শৃঙ্খলা নেই। আমার মা–বোনেরা কি রাস্তায় বেরোতে পারেন না? বলুন। এখানে শিক্ষা নেই, স্বাস্থ্য নেই, খাদ্য নেই? ওদেরকে জিজ্ঞাসা করুন দিল্লির কুঠুরিতে কি আছে?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়, মদন মিত্র–সহ নেতা–কর্মীরা।