রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ও। তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে বড় আকারে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে না। বরং ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের উপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিশ্বভারতী, রবীন্দ্রভারতী এবং জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে সেভাবে রবি স্মরণ হচ্ছে না।
রবিবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। একুশের মহারণের আগে থেকে বাংলার প্রায় সকল মনীষীর জন্মতিথিতে টুইটারে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাঙালির আবেগ ছুঁতে বাংলা ভাষায় টুইট করেন তিনি। এবারও ব্যতিক্রম হল না। টুইটারে বাংলায় মোদী লেখেন, ‘রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি আমার প্রণাম। আমি প্রার্থনা করি, তাঁর স্বপ্নের ভারতবর্ষ গড়ে তুলতে তাঁর আদর্শ আমাদের উৎসাহ ও শক্তি প্রদান করবে।’
এদিন ফেসবুক, টুইটারে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লেখেন, ‘চিরনূতনেরে দিল ডাক, পঁচিশে বৈশাখ… বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবসে শ্রদ্ধা ও প্রণাম। ওনার আদর্শই আমাদের পাথেয় হয়ে উঠুক, এই কামনা করি।’
কোভিড পরিস্থিতিতে জৌলুসহীন এবারের ২৫ বৈশাখ। জোড়াসাঁকোর প্রভাতী অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, আবৃত্তি, তাঁর লেখা পাঠের মাধ্যমে প্রভাতী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। প্রচুর মানুষ সেই অনুষ্ঠান দেখতে আসেন। অনেকে কবিগুরুর জন্মকক্ষে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করেন। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির দুয়ার খোলা থাকে সাধারণ মানুষের জন্য। তাঁরা ঘুরে দেখতে পারেন প্রদর্শনশালাও। তবে এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। বিশ্বভারতীতেও এবার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।