দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত আটটি জেলা। সবমিলিয়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে এবং অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১ লাখ বাড়ি। আজ বন্যা দুর্গত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নবান্নে ফিরে জরুরিকালীন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের শীর্ষ আমলারা।
আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে আজ আরও একবার কেন্দ্র এবং ডিভিসিকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘যেভাবে এবারে জল ছাড়া হয়েছে, এটি একটি বড় অপরাধ। ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর দফায় দফায় জল ছেড়েছে ডিভিসি। ঝাড়খণ্ডের থেকে ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দু’দিন মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ কিউসেকের উপর জল ছেড়েছে কেন্দ্র।’
প্রয়োজনে যে রাজ্য ডিভিসির থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে নেবে, তাও বুঝিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘এর আগে কখনও এত জল ছাড়া হয়নি। এটা ম্যানমেড ক্রাইম। যেভাবে জল ছাড়া হয়েছে তা অপরাধ। ডিভিসির ছাড়া জলে ৮ জেলা প্লাবিত। ড্রেসিং করলে বাংলার এই পরিণতি হত না। জলাধারগুলির সংস্কার করুক ডিভিসি। বছরে চার বার বন্যা হলে কী করব আমরা?’
ডিভিসির এই ইস্যু নিয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি চিঠি পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। বিশেষ করে পুজোর আগে জেলার পর জেলা এই ভাবে বানভাসি হওয়ার বেজায় অসন্তুষ্ট মমতা। বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনেক চিঠি লিখেছি। এর দায় ডিভিসিকে নিতে হবে। আমি নিজে চিঠি লিখব প্রধানমন্ত্রীকে। একটা রাজ্যকে কতবার ভাসাবে। পুজোর সময় লোকে আনন্দ করবে, নাকি গরু-ছাগল নিয়ে চিন্তা করবে। প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করব, বারবার যেন বাংলা বঞ্চিত না হয়।’