এবার বিজেপি’র উদ্দেশ্যে জোর ধাক্কা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতি এবং আমফান পরবর্তী অবস্থা রাজ্য সরকার সামলাচ্ছে কারও বেতনে হাত না দিয়ে। সেখানে বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ বন্ধ করে, সাংসদদের বেতন কেটে, এমপি ল্যাডের টাকাও বন্ধ করে বাংলার সমালোচনা করছে বলে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এটা যে প্রকৃত অর্থেই সত্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তা জানেন।
বঙ্গ বিজেপি নেতারা আজ দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন। কারণ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ব্লু–প্রিন্ট তৈরি করতে। তার আগেই এই চাল দেওয়ায় বেশ অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। তাঁর বক্তব্য, বাংলায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন, বিনামূল্যে রেশন, গরীবের সামাজিক সুরক্ষা পেনশন— সবই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রের চরম অসহযোগিতা সত্ত্বেও। রাজ্যের উন্নয়নও সমানতালে চলছে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, করোনার নামে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ সিজ করে দেওয়া হয়েছে। এমপিদের বেতন কাটছে। এমপি ল্যাডও বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা বেতনই পাচ্ছেন না। আমরা কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১ তারিখেই বেতন দিচ্ছি। কোভিড একটু বেড়েছে। চিন্তার কারণ নেই। টেস্ট, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট সবই বাড়াতে হবে। ১৮ হাজার বেড অ্যাভেলেবেল আছে। হাসপাতাল, সেফ হোম মিলিয়ে ৩১ আগস্টের মধ্যে এই সংখ্যাটা ২৩ হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা প্রতিদিন ১৩ হাজার টেস্ট করছি।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার করোনা পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনক বলে দাবি করে চিঠি এসেছে রাজ্য সরকারের কাছে। মুখ্যন্ত্রীর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের চারপাশে এতগুলো রাজ্য ও দেশের সীমান্ত আছে। যা আর কোনও রাজ্যের নেই। ফলে চিকিৎসা–সহ নানা জরুরি প্রয়োজনে এখানে রেজ বাইরের বহু মানুষকে আসতে হয়। শুধু তো মানুষ আসে না, সঙ্গে রোগটাও আসে। তাঁর কথায়, আমফানের পর প্রধানমন্ত্রী এলেন দয়া করে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ছোট করব না। কিন্তু রাজ্য কি তাঁর প্রাপ্য পেল?
