লিড নিউজ

বুধবার সারা রাত নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী

করোনা মোকাবিলায় রাস্তায় নেমে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন লকডাউনের বাজারে। রাত জেগে মানুষের পাশে ছিলেন বুলবুলের সময়। কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য হয়ে তাঁকে কুর্নিশ জানায়। স্বীকার করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, তাই বলেছিলেন, আপনি যেভাবে দুর্যোগ সামলালেন তাতে কুর্নিশ না জানিয়ে থাকা যায় না। এবারও তিনি মানুষের স্বার্থে সারারাত জাগবেন। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপামর বাঙালির ঘরের মেয়ে।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের সব থেকে বেশি প্রভাব বুধবার দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পড়তে পারে। এমনই খবর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। তাই এদিন গোটা রাতই নবান্নে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সারারাত জেগে থাকবেন। বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করবেন। কারণ রাজ্যের ক্রমশ কাছাকাছি এসে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। বুধবার বিকেলের দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। যে গতিবেগে ঝড় আছড়ে পড়তে পারে, তাতে উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকে হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা–সহ উপকূলবর্তী জেলায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝোড়ো হাওয়া। শুধু উপকূলীয় অঞ্চল নয়, এই ঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে নদিয়া–মুর্শিদাবাদেও। তাই কন্ট্রোল রুম থেকে গোটা পরিস্থিতির ওপরে নিজেই নজর রাখতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত চার লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে করোনার কথা মাথায় রেখে ত্রাণশিবিরে মাস্ক, স্যানিটাইজার মজুত করাও হয়েছে।