ঝাড়খণ্ডের ত্রিকূট পাহাড়ের রোপওয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ৮ পর্যটক। ২৪ ঘন্টা জল না মেলায় তৃষ্ণা মেটানোর জন্য প্রস্রাব সংরক্ষণ করেছিলেন বোতলে। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকল হরিশ্চন্দ্রপুরের ৮ পর্যটক।
সূত্রের খবর, খাবার এবং জল ছাড়া প্রায় ২৪ ঘণ্টা আটকে ছিল রোপওয়েতে। পানীয় জল না মেলায় তৃষ্ণা মেটানোর জন্য নিজেদের প্রস্রাব সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন বোতলে। ঝুলন্ত অবস্থায় মুখোমুখি দুটি রোপওয়ে কেবিনের ধাক্কা লাগাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বারোটি রোপওয়ে আটকে যায়। ঘটনার জেরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রায় ২২ জন দর্শনার্থী ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ওই রোপওয়ে গুলির মধ্যে আটকে ছিল। উদ্ধার কাজে নামানো হয় ইন্ডিয়ান আর্মি, আইটিবিপি, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের জাওয়ানদের।
সংঘর্ষের জেরে ১২ জন গুরুতর আহত হয়। তার মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের ৮ বাসিন্দা। তাঁদের বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাজার পাড়াতে। আহতদের নাম দেবানঞ্জয় পাল, ঝুমা পাল, বিনয় দাস, নমিতা দাস, সুধীর কুমার দত্ত, সাহেব দাস, পুতুল শর্মা ও আরও একজন ভালুকা বাজারের বাসিন্দা বলে জানা যায়। গত শনিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজার থেকে একটি বাস দেওঘর এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই বাসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন এমনকি মালাহার, সামসি, রতুয়া বাহারাল, মানিকচক, কালিয়াচকের বাসিন্দারাও ছিল বলে জানা গেছে। উদ্ধারকাজে সেনা-বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে রোপওয়েতে আটকে থাকা পর্যটকদের জল ও খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।