বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদহের ইংরেজবাজার। ই–রিকশায় ঘটে তীব্র বিস্ফোরণ। শক্তিশালী সেই বিস্ফোরণ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছে চালকের দেহ। এই ঘটনায় বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ডের ছায়া দেখছে সিআইডি। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এনআইএ। মালদহে টোটো বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করলেন বিজেপি’র সহ সভাপতি রাজু বন্দোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে বিজেপি’র অস্থায়ী জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে আসেন রাজু বন্দোপাধ্যায়। সেখানেই টোটো বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের দাবি করেন তিনি।
বাদুড়িয়ায় লস্কর জঙ্গি তানিয়া পারভিনের গ্রেপ্তারের পরই তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদহের ইংরেজবাজার এলাকা। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে ছিটকে পড়ল চালকের দেহ। মৃেতর নাম মহম্মদ ইলিয়াস। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘টোটো বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত হলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই এনআইএ তদন্ত দাবি করছি। টোটো বিষ্ফোরণের ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত হলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
ফরেনসিক দল পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সিআইডি’র তদন্তকারী আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বৃহস্পতিবার। এনআইএ মালদহের পুলিশ সুপারের সঙ্গে এই নিয়ে যোগাযোগ করেছে। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ঘটনাটির এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন। সে দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা। পরিবার সূত্রে খবর, প্রায় চার বছর ধরে ইলিয়াস টোটো চালান। খুবই দরিদ্র পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। একমাত্র অবলম্বন ছিলেন ইলিয়াস। বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধ মা, বাবা, স্ত্রী খাদিজা বিবি এবং ৮ মাসের কন্যাসন্তান। ইলিয়াসের মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গোটা পরিবার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মালবোঝাই করে টোটো নিয়ে ইলিয়াস প্রথমে গাজোল যান। তারপর মালদার মালঞ্চ পল্লিতেও প্লাইউডের তৈরি দরজা পৌঁছে দেন। এমনকী একটি কারখানা থেকে কাঁচামাল নিয়ে ফেরার পথে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের খাতাতেও ইলিয়াসের নামে কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। লাজুক স্বভাবের ইলিয়াস গ্রামের সকলেরই প্রিয় ছিল। এমন ঘটনায় সকলেই হতবাক। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে তীব্র বিস্ফোরণের পরেই প্রকাশ্যে এসেছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিদের গোপন কার্যকলাপ। একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের গোপন ছক প্রকাশ্যে এসেছিল সেই ঘটনার পর।
