বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হত্যাকাণ্ডে ফাঁসির আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ। ফলে মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের সামনে আর কোনও বাধা রইল না। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যে কোনও সময় সাজা কাযর্কর হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রায় সাড়ে চার দশক পরে মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে আবদুল মাজেদ। বুধবার দুপুরে তাকে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের আদালতে তোলা হয়। আবদুল মাজেদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন বিচারক এম হেলালউদ্দিন চৌধুরী। তার প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে মাজিদ। সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে আবেদন যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই আবেদন খারিজ করে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ২০০১ সালে রায় ঘোষণা করেছিল জজ আদালত। ২০০৯ সালে সেই রায়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের যে সময়সীমা ছিল তা বেশ কয়েক বছর আগেই পেরিয়ে গিয়েছে। গা ঢাকা দিয়ে থাকার ফলে আবদুল মাজেদ সেই সুযোগ হারিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তার বাঁচার একমাত্র পথ ছিল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যাওয়ায় এখন তার ফাঁসির সাজা এড়ানোর সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে গেল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বিদ্রোহী সেনারা। তখন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানা। ২১ বছর পর আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় এলে মামলা শুরু হয়। ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকার জেলা ও দায়রা আলাত ১৫ জন প্রাক্তন সেনাকর্তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজিজ পাশার ২০০১ সালে বিদেশে মৃত্যু হয়। এরপরে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
