আন্তর্জাতিক

শ্রীঘরে জাতির জনকের প্রপৌত্রী

জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রীর। যা কল্পনাও করা যায় না। সেই ঘটনায় এবার দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। তার জেরে অভিযুক্ত আশিস লতা রামগোবিনকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল ডারবান আদালত। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ভারত থেকে রেশম ভর্তি তিনটি কন্টেনারের আমদানি শুল্কের জন্য তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকার মুদ্রায় ৬.২ মিলিয়ন র‌্যান্ড দিয়েছিলেন এসআর মহারাজ নামে এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ, লতা ওই ব্যবসায়ীকে জানান, রেশমের তিনটি কন্টেনার এনেছেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার ফলে আমদানি শুল্ক তিনি দিতে পারছেন না। বন্দর থেকে কন্টেনার নিতে তাঁর অর্থের প্রয়োজন। এরপর শুল্ক মেটানোর নাম করে জাল কাগজপত্র দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ীর থেকে আগাম টাকা নিয়েছিলেন। ওই ব্যবসায়ীকে মুনাফার ভাগ দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন গান্ধীজীর নাতনির মেয়ে।

যদিও ওই কন্টেনারের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। পরে ওই ব্যবসায়ী বুঝতে পারেন যে তাঁর সঙ্গে জালিয়াতি করা হয়েছে। এরপর ২০১৫ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। কিন্তু শুনানি চলাকালীন ব্যবসায়ীকে কন্টেনার আনার আশ্বাস দেন লতা। এরপর ৫০ হাজার র‌্যান্ডের ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়াও পান তিনি। কিন্তু পরে কন্টেনার না আসায় জালিয়াতির অভিযাগে দোষী সাব্যস্ত হন লতা। তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত।