পিজি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বেশ কিছু মূল্যবান যন্ত্রপাতির হদিশই মিলছে না। কিছু নতুন যন্ত্রপাতির জায়গায় আবার পুরনো জিনিস রাখা আছে। সম্প্রতি বিষয়টি সামনে আসায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে এখানকার চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তের জন্য চারজন সদস্যের একটি তদন্তকারী দল গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের শীর্ষকর্তা থেকে শুরু করে মাঝারি স্তরের কর্তাব্যক্তিরা সবাই কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি বা মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন।
কয়েকদিন আগে প্রাণদায়ী মূল্যবান তোসিলিজুমাব ওষুধ গায়েব হয়ে যায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে। পিজি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন প্যাকেটের মধ্যে পুরনো যন্ত্রপাতি ভরে রেখে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। ইকো, ইউএসজির নতুন মেশিনের প্যাকেটের মধ্যে পুরনো মেশিন পাওয়া গিয়েছে। ভেন্টিলেটর, হল্টার মনিটর ইত্যাদি মেশিনের হদিশই নেই। যদিও সেগুলি এই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে থাকার কথা।
উল্লেখ্য, পিজি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট রাজ্যের অন্যতম সেরা বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু গত প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন বিতর্কের কারণে বারবার সংবাদ শিরোনামে এসেছে এই বিভাগ। চলতি বছরের শুরুর দিকে এখানকার একজন সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী অশালীন আচরণের অভিযোগ তোলেন। ‘মি টু’ সংক্রান্ত এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে সেই সময় যথেষ্ট জলঘোলা হয়। সেই অভিযোগের তদন্তের পর কর্তৃপক্ষ ওই অভিযুক্ত অধ্যাপক এবং তৎকালীন বিভাগীয় প্রধানকে অন্যত্র বদলি করে দেয়। তাঁদের হাত থেকে বর্তমান কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্বের হাতবদলের পর সমস্ত যন্ত্রপাতি মিলিয়ে দেখার কাজ চলছিল।