আজ ৪১ বছরের জন্মদিন পালন করছেন ক্যাপ্টেন কুল। দেখে নিন, অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত, যা ভারতেক চ্যাম্পিয়ন তো করেইছিল, সেইসঙ্গে ভারতীয় দলের আক্রমণাত্মক মেজাজটাও বজায় রেখেছিল।
• ভারত বনাম পাকিস্তান, ২০০৭, টি-২০ ফাইনাল
শেষ ওভারে হরভজন সিংয়ের বদলে ধোনি বল করতে পাঠান যোগিন্দর শর্মাকে। সেই ওভারে মিসবা-উল-হক তাঁকে তিনটে ছয়ও মারেন। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন পাকিস্তানই জিতছে। ধোনির এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছিল সমালোচনা। ঠিক সেই সময় আরও একটি ছয় মারতে গেলেন মিসবা, কিন্তু এবার শ্রীসন্থের হাতে ধরা পড়লেন তিনি। ম্যাচটাও জিতে যায় ভারত। ধোনির সিদ্ধান্ত হতচকিত করে দেয় সমালোচকদের।
• ২০০৮ সালে তিনদলীয় সিরিজ, সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা
২০০৮ সালে দল থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড়ের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। বলা হয়েছিল, দল ফিটনেসের দিকে জোর দিতে চাইছে। দুজন সিনিয়র প্লেয়ার বাদ যাওয়াতে চিন্তায় ছিলেন দলীয় কর্তারা। এই সময় থেকেই দলে ফিটনেসের দিকে বেশি জোর দেওয়া হতে থাকে। ভুল ছিলেন না ধোনি সেদিনও। সেই সিরিজ ভোলার ছিল না। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ভারতের তিনদেশীয় সিরিজ জয় সেবারই।
• ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০১১ সাল বিশ্বকাপ ফাইনাল
যুবরাজ সিং সেবার সেরা ফর্মে। কিন্তু ফাইনালে ধোনি তাঁরও আগে নামার সিদ্ধান্ত নেন। ৪ নম্বরে নেমে ধোনির ঝকঝকে ৯১ রান কে ভুলতে পারে। আর শেষ বলে সেই ৬, যা মনে গেঁথে থাকবে কোটি কোটি ভারতবাসীর।