বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ধর্নায় বসল এক যুবতী। মঙ্গলবার রাতে শীতলকুচি ব্লকের বড় গদাই খোড়া গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
জানা গেছে, শীতলকুচি ব্লকের পাঁচপীর এলাকার যুবতী হামিদা খাতুন গদাই খোঁড়া গ্রামের যুবক আলমগীর মিয়ার বাড়িতে আসেন বিয়ের দাবি নিয়ে। যুবকের পরিবার যুবতীর প্রেম অস্বীকার করে যুবতীকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয় এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ভিড় করে যুবকের বাড়িতে। মঙ্গলবার রাতে এলাকার বাসিন্দারা যুবতীকে প্রেমিকের বাড়িতে ঢুকিয়ে ঘটনাটি সালিশি সভায় বসার আশ্বাস দেন। তবে প্রেমিক বেপাত্তা রয়েছে।
বাসিন্দারা জানায়, যুবক বাড়ি ফিরলে তবেই দুপক্ষকে নিয়ে সালিশি সভা করে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। যুবতীর দাবি, যুবকের সাথে তার তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। গত ১ সপ্তাহ আগে যুবক তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তাকে না জানিয়ে অপর এক যুবতীর সাথে বিয়ে ঠিক করে বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়েই যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এসেছে যুবতী।
অপরদিকে প্রেমিকের মায়ের দাবি, তিনি এই সম্পর্কের কথা জানতেন না। কয়েকদিন আগেই তার ছেলের এক যুবতীর সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে। এই যুবতীকে তিনি মেনে নেবেন না। এ বিষয়ে ছোট শালবারি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আনোয়ারা বিবি বলেন, যুবতী ধর্নার ঘটনাটি শুনেছি। দুই পরিবার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।