আজও বিধানসভায় শপথ নিতে চলেছেন বেশকিছু বিধায়করা। দু’দিন ধরে চার দফায় ৭৪ জন করে বিধায়ক শপথ নেবেন। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা ও দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। কেউ ফিরেছেন চেনা করিডরে। কারও কাছে আবার নতুন জায়গা। আর কেউ কেউ নিজের অফিসে, নিজের ঘরে বসে চোখের জল মুছছেন। বিধানসভার অলিন্দে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে যাঁরা ঘাসফুল ছেড়ে হাতে পদ্ম ফুল তুলে নিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরতে চাইছেন দিদির আশ্রয়ে।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলছেন, আসলে মমতা বন্দনা করে তাঁরা দলে ফিরতে চাইছেন। কেউ হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছেন। কেউ আবার লাগাতার কোনও এক শীর্ষ নেতাকে কল করে গিয়েছেন৷ আবার কোনও এক প্রাক্তন নেতার স্ত্রী ক্রমাগত ফোন করেছেন দলের তিন শীর্ষ নেতাকে। ফোনে কথা বলতে না পেরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়েছেন, দিদিকে একটু দেখতে বলো।
জানা গিয়েছে, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা ও বর্ধমানের কিছু নেতা যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই জোড়া ফুল শিবিরকে লাগাতার আক্রমণ করে গিয়েছেন দলে থেকেও বেশ কিছু নেতা। অনেকেই পদ্ম শিবিরের টিকিট ছিনিয়ে নেন। যদিও ভোটের ফল বেরনোর পর দেখা যায় তাঁরা জিততে পারেননি। এমনকি যাঁরা চাটার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সেই রাজীব বন্দোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী, এঁরা কেউই জিততে পারেননি। তৃণমূলের ঝড়ে কেউই মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেননি। তাঁরাই এবার তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহলে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন বলেই খবর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, আসুক না! কে না করেছে! সবাই ওয়েলকাম। তবে দলের অন্য নেতাদের একটা বড় অংশ বলছেন, এই সব নেতাদের অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের একাধিক নেতাদের ব্যক্তিগত কুৎসা করে গিয়েছিলেন। তাই তাঁদের যাতে দলে না ফেরানো হয়, সেই বিষয়ে তাঁরাও সোচ্চার হতে শুরু করে দিয়েছেন।
