মগজ ধোলাই করতে করতে কখন যে নিজের মগজ ধোলাই হয়ে গিয়েছে তা বুঝতে পারেননি তিনি। তাই তাঁর বক্তব্য, একবার রামমন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গেলে করোনাভাইরাস পালানোর পথ পাবে না। রামচন্দ্রই তুষ্ট হয়ে দুষ্ট ভাইরাসকে দমন করবেন। এই রামভক্ত মানুষটির নাম রামেশ্বর শর্মা। বিজেপি নেতা ছাড়াও তাঁর আর একটি পরিচয় তিনি মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার প্রটেম স্পিকার। ফলে এই পদে থেকে এমন কথা বলা যায় কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে, ৫ আগস্ট ভূমিপুজো রয়েছে অযোধ্যার রামমন্দিরের। সেই বিষয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে রামেশ্বর শর্মা বলেন, ‘তিনি (ভগবান রামচন্দ্র) মানবজাতির কল্যাণে এবং রাক্ষসদের হত্যা করার জন্য পুনর্জন্ম নিয়েছিলেন। রামমন্দিরটি নির্মাণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা মহামারীর ধ্বংসও শুরু হবে। কেবল ভারত নয়, গোটা বিশ্ব করোনভাইরাসের কারণে ভুগছে। আমরা কেবল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি না। আমাদের পবিত্র দেবদেবতাদের স্মরণ করছি। সুপ্রিম কোর্টও রামমন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, রামজন্মভূমি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বারাণসীর পুরোহিতরা ভূমিপুজোর দায়িত্বে থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন অযোধ্যার পুরোহিতরাও। ভূমিপুজোর দিন গর্ভগৃহে পাঁচটি রুপোর ইট রাখা হবে। গর্ভগৃহ হবে আটকোনা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মন্দিরের যে নকশা বানিয়েছিল, মূলত সেটাই অনুসরণ করা হচ্ছে, তবে তা আরও বড় করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো থাকছেনই। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার প্রটেম স্পিকারের বক্তব্য জোর বিতর্ক তৈরি করেছে।