Mamata Bandyopadhyay advised to corona affected patient for home quarantine.
ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

বাংলায় লকডাউন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বললেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রত্যাশামতোই রাজ্যে বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পরই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ এপ্রিলের পরও ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫। তার মধ্যে ১৬টি পরিবারের থেকে ৭০ জন আক্রান্ত। ১০ জুন পর্যন্ত স্কুল–শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এদিকে ১৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, দিল্লি–সহ বেশিরভাগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই লকডাউন বাড়ানোর পক্ষেই মত দেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, যদি তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে নেওয়া হয় তাহলে কোভিড–১৯–এর বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসা সামগ্রী তাঁদের হাতে নেই। বৈঠক শেষে মোদী ইঙ্গিত দেন, ১৪ তারিখের পর ফের আরও ১৪ দিন দেশব্যাপী লকডাউন জারি থাকবে। তবে বেশিরভাগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে লকডাউনের সময় অর্থনীতি সামাল দিতে ত্রাণের আবেদন করেছেন।
এদিকে লকডাউন থাকলেও গম, তেলের মিল চালু থাকবে। খোলা থাকবে বেকারিও। তবে নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌কাল, পরশু নবান্ন বন্ধ থাকবে। কারণ স্যানিটাইজেশন কাজ চলবে।’‌ হটস্পট প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌কোনও এলাকা সিল করা হয়নি। আর এটা কোনও হটস্পট নয়। এটা সরকারি মাইক্রো প্ল্যানিং।’‌
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘‌লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে একদম ঠিক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ অনেক উন্নত দেশের থেকে ভারতের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। এখন এটা যদি থামিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সব লাভটাই জলে চলে যাবে। ঠিক রাখতে বাড়ানো দরকার।’‌ তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সীমানা বিষয় নিয়ে বিশেষ সতর্কতার কথা বলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। এই বিষয়ে নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি। আমার কাছে এই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট খবর রয়েছে। বাংলা যদি বিপদে পড়ে, তাহলে সমস্যা হবে উত্তর–পূর্বে। নাম না করে রাজ্য বিজেপিকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট বলেছি, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেন আলটপকা মন্তব্য না করে।’‌
বৈঠকে মোদি জোর দেন লকডাউনের মধ্যেই কীভাবে দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটানো যায় সেব্যাপারে। টুইট পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‌জান ভি, জাহাঁ ভি। সমগ্র দেশবাসী নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুস্থ ভারতের কথা চিন্তা করে নিজেদের কর্তব্য করবেন এবং সরকারের নির্দেশিকা মানবেন। দেশের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য এটা জরুরি।’‌