১৪ এপ্রিলের পর কী লকডাউন উঠে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশবাসীর কাছে। আর দিন যত এগিয়ে আসছে ততই কেন্দ্রের কাছে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠছে। কারণ লকডাউন রাখলে দেশের গরীব মানুষ খেতে পাবে না। আর তুলে দিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। এছাড়া গোটা দেশে দেখা দিতে পারে আর্থিক সংকটের মতো কঠিন পরিস্থিতি।
সূত্রের খবর, সর্বত্র লকডাউন না তুলে সংক্রমণ ও হটস্পটের নিরিখে গোটা দেশকে তিন বা তার বেশি জোনে ভাগ করা হোক। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিটি জোনের অবস্থা খতিয়ে দেখে লকডাউন তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক পৃথকভাবে। যে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনা রোগীর সংখ্যা হাতে গোনা, সেই জোনটাকে প্রথমে চিহ্নিত করা। এই তালিকায় থাকবে অরুণাচলপ্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, পুদুচেরি, ঝাড়খণ্ড, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ, ছত্তিশগড়, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এই অঞ্চলে ১৫ তারিখই লকডাউন তুলে দিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করা যেতে পারে। তার মধ্যে মেঘালয়, সিকিম আর নাগাল্যান্ডের মতো রাজ্যও পড়ছে যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনো করোনা রোগীর সন্ধান মেলেনি।
দ্বিতীয় জোনে— পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, অসম, চণ্ডীগড় এবং জম্মু ও কাশ্মীর। এই জোনে সংক্রমিতের সংখ্যা কোথাও ২৫০ ছাড়ায়নি। মৃতের সংখ্যাও দুই অঙ্কে পৌঁছয়নি। ওই জোনে লকডাউন আংশিক ভাবে শিথিল করার কথা ভাবা হচ্ছে।
আর তৃতীয় জোনে— মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, কেরল, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলি। প্রত্যেকটি রাজ্যেই সংক্রমিতের সংখ্যা ২৫০–র বেশি। মহারাষ্ট্রে তো ১০০০ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই সব রাজ্যে লকডাউন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে লকডাউন তুললেও স্কুল-কলেজ-সহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় স্থান, শপিং মল, সাংস্কৃতিক বা সামাজিক জমায়েত এখনও অন্তত চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার কথা ভাবা হয়েছে।
