জেলা

লকডাউন কাটিয়ে শুরু হচ্ছে লোকাল ট্রেন

আর একটা মাত্র দিন পর শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকাল ট্রেন। করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে, নিউ নর্মালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠুভাবে যাত্রী পরিষেবা দিতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রেল। এই অবস্থায় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে সোমবার বিকেলে নবান্নে বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। দীর্ঘ ৮ মাসের লকডাউন কাটিয়ে ফের শুরু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ রুখতে জনসচেতনতামূলক একটি ভিডিও প্রকাশ করল দক্ষিণ–পূর্ব রেল। যেসব জেলার মধ্যে যোগাযোগের বড় মাধ্যম লোকাল ট্রেন, তেমন ১০টি জেলার পুলিশ সুপার, কমিশনার, জেলাশাসকদের নিয়ে হবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। লোকাল ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণে আজই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হতে চলেছে একটি মামলা।
করোনা–লকডাউনের জেরে দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর লোকাল ট্রেন পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে দিতে রবিবার থেকে ধাপে ধাপে কাজ শুরু করেছেন হাওড়া, শিয়ালদহ শাখার রেলকর্মী, আধিকারিকরা। রবিবার দিনভর বিভিন্ন স্টেশন, ট্রেন স্যানিটাইজ করা হয়। সোমবার থেকে স্টেশনগুলিতে টিকিট কাউন্টার খুলে শুরু হবে মান্থলি পুনর্নবীকরণের কাজ। তৈরি হচ্ছে রাজ্যও। নিত্যযাত্রীদের চাপের কথা ভেবে প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে সরে এসে ট্রেন সংখ্যা বাড়িয়েছে রেল।
বুধবার থেকে মোট ৬৯৬টি ট্রেন চলবে শিয়ালদহ, হাওড়া ও দক্ষিণ–পূর্ব শাখায়। আর তা চালু হলে কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তাতে প্রশাসনের কী ভূমিকা হবে, তার রূপরেখা ঠিক করতে আজ বিকেলে নবান্নে বৈঠকে বসছেন ১০ জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনাররা। ভিডিও’‌র শুরুতে দেখা যাচ্ছে, প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমান অফিসযাত্রীরা। আর স্টেশনে ট্রেন ঢুকছে। দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে ফের ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ায় খুশি নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের কথায়, জীবন ফের ছন্দ ফিরে পেল। তবে আগের মতো পরিস্থিতি এখন নয়। তাই ট্রেনযাত্রাও এবার একটু ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন নিয়মে।
দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মণ্ডপে ‘নো–এন্ট্রি’ জোন ঘোষণার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হাওড়ার বাসিন্দা অজয় কুমার দে আজ ফের একটি মামলা দায়ের করতে চলেছেন। লোকাল ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণের আবেদনে মামলা দায়ের হতে পারে বলে খবর। তবে আগের মতো গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসা নয়। দাঁড়ানো নয়। সবসময় মাঝে একটা আসন বাদ রেখে তারপর বসতে হবে যাত্রীদের। মাঝের আসনগুলিতে কাটা চিহ্ন (X) দেওয়া থাকবে। সেটা মেনে চলতে হবে প্রত্যেক যাত্রীকে। ভিডিও–তে এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আর ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে মাস্ক বাধ্যতামূলক। মাস্ক সবসময় পরতেই হবে। মাস্ক ছাড়া ট্রেন যাত্রা দণ্ডনীয় অপরাধ বলেই বিবেচিত হবে। আর ট্রেনে উঠে কোথাও হাত দিলে সঙ্গে সঙ্গে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। যাত্রীরা স্টেশন নামার পর তাঁদের যানবাহনের কী ব্যাবস্থা থাকবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। কারণ যাত্রীদের দ্রুত স্টেশন থেকে বের করার ব্যবস্থা না করলে, স্টেশন চত্বরে ভিড় জমে যাবে। করোনা পরিস্থিতিতে যা কোনওভাবেই কাম্য নয়।