বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চলার কথা ছিল। সেই লোকাল ট্রেন চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়ে গেল। কালীপুজো, কার্তিকপুজো বা জগদ্ধাত্রীপুজোর মণ্ডপ নো–এন্ট্রি রেখে আদালতের নির্দেশ পালন করতে হলে বুধবার চালু হতে যাওয়া লোকাল ট্রেনের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই আবেদন করা হয়েছে মামলায়। একইসঙ্গে আবেদন করা হয়েছে, শহরতলির যেসব জায়গায় বড় পুজো হয়, কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত সেইসব স্টেশন এবং তার ১০ কিলোমিটার আগে–পরের স্টেশনে লোকাল ট্রেন দাঁড় করানো যাবে না। জগদ্ধাত্রী পুজোতেও যাতে একই নির্দেশ দেওয়া হয়, তা চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কালীপুজোর আগে ১০ নভেম্বর ছুটির মধ্যে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ বসবে। ওইদিন মামলাটির শুনানি হতে পারে। কালীপুজোয় বারাসত, মধ্যমগ্রাম, ব্যারাকপুর, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়ার মতো উত্তর শহরতলির বেশ কিছু এলাকায় ভিড় হয়। একইভাবে চন্দননগর, কৃষ্ণনগর ও আরও কয়েকটি জায়গায় নজরকাড়া ভিড় হয় জগদ্ধাত্রীপুজোয়। কালনা, কাটোয়ার মতো শহরে ভিড় হয় কার্তিকপুজোয়। তাই লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গেলে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রায় ২০০ জোড়া লোকাল ট্রেন বিভিন্ন শাখায় চলাচল শুরু করবে। মূলত দক্ষিণ–উত্তর শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ নির্ভর করেন লোকাল ট্রেনের উপর। গত সাত মাস ধরে করোনার জন্য এই পরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পরে বাস্তবে নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। যদিও এই মামলার এখনও কোনও রায় দেওয়া হয়নি।
