মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর করোনা মোকাবিলা করাই তার প্রথম কাজ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, নবান্নে প্রবেশ করার পরই তিনি কোভিড নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। সেই বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে গাইডলাইন জারি করলেন রাজ্যে। তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। কোভিড নিয়ে বিশেষ আলোচনা করা হয়েছে। কোভিড নিয়ে আমরা সমস্ত জেলার জেলাশাসক, মেডিক্যাল সুপার, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি–সহ সকলেই ছিলেন। সেখানে কোভিড মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠিও দিয়েছি।’
এদিন তিনি জানান, রাজ্যের সরকারি সংস্থাগুলিতে ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ চালানো হবে। শপিংমল, শপিং কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্টুরেন্ট, বার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম, স্পা, সুইমিং পুল, বন্ধ থাকবে। আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্যই বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন ২৭ হাজার বেড রয়েছে, আগামী সপ্তাহে আরও তিন হাজার বেড়ে যাবে। মোট ৩০ হাজার বেড হয়ে যাবে। এর মধ্যে সাড়ে তিন হাজার আইসিসিইউ বেড। এখন রোজ ২ লক্ষ টিকা দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি যে নতুন নির্দেশিকা তৈরি করেছেন তাতে বলা হয়েছে, ৫০ জন নিয়ে বিয়ে বাড়ির অনুমতি পাওয়া যাবে। যে কোনও কারণে জমায়েতের জন্য অনুমতি নিতে হবে। সামনেই রয়েছে রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব। ছোট করে ৫০ জনের উপস্থিতিতে পালন করা যাবে রবীন্দ্রজয়ন্তী বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি অনুষ্ঠান ভার্চুয়াল মাধ্যমে করা হবে। ছোট ছোট যেসব খুচরো দোকান রয়েছে তা খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত। কোনরকম রাজনৈতিক জমায়েত করা যাবে না। বন্ধ করা হল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। বৃহস্পতিবার থেকেই বন্ধ থাকবে সমস্ত লোকাল ট্রেন। কোভিড রুখতেই এখন কিছুদিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
তবে তিনি জানান, এখনই পুরোপুরি লকডাউন জারি করা হবে না। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত গয়নার দোকান খোলা রাখা যাবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে। বিমানে আসা–যাওয়া করতে গেলে চাই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট। সবাইকে আবশ্যিক ভাবে মাস্ক পরতেই হবে। বেসরকারি সংস্থাকে চালু করতে হবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম।