করোনা পরিস্থিতি ঠেকাতে বন্ধ করা হয়েছে লোকাল ট্রেন। তাতে অনেক মানুষের রুটিরুজি হারানোর ভয়, যাতায়াতের সমস্যা তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই করোনা পরিস্থিতি সামলাতে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়েই উঠে আসছে নানা সমস্যার কথা।
অফিস ফেরত ভিড় তখন শুরু হয়েছে হাওড়া স্টেশনে। ব্যান্ডেলের এক বিবাদী বাগে বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। তিনি বলেন, এভাবে লোকাল ট্রেন একেবারে বন্ধ না করে নিয়ন্ত্রিতভাবে চালানো যেত। সড়কপথে আসতে সময়, খরচ সবই তো দ্বিগুণ লাগবে। পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা গত বছর লকডাউনে নিজের মোটরবাইক নিয়েই বেশিরভাগ সময় যাতায়াত করেছেন কলকাতায়। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় আর বাইক নিয়ে এতটা রাস্তা আসেননি। হাওড়া স্টেশনের বাইরে হকার, ছোট ব্যবসায়ীদের কপালেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ। সালকিয়ার বাসিন্দার ফলের দোকান স্টেশনের বাইরে। তিনি বলেন, আমরা এবার কীভাবে বাঁচব, আল্লাই জানেন।
লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে চলেছেন কোলে মার্কেটে সবজি নিয়ে আসার কাজ করা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। রানাঘাটের এক চাষী বলেন, কিছু ট্রেন চললেও আমরা যেভাবে হোক মালপত্র নিয়ে যেতে পারতাম। সব সবজি হয়তো এবার পচেই নষ্ট হবে। অফিসযাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার দাবিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিল সিটিজেন্স ফোরাম। সংগঠনের দাবি, রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় অফিসযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হবে। অফিসে যাওয়ার তাগিদে বাসে ভিড় হবে, ছোটগাড়িতে বেশি দর হাঁকা হবে। এজন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
