দেশ ব্রেকিং নিউজ

করোনার বিপর্যয়ে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে

সঞ্চয় কমছে। বাড়ছে দেনা। সাধারণ দেশবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাপনের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি এরকমই বার্তা দিচ্ছে। স্টেট ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ায় ইকনমিক রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, দেশের সিংহভাগ গৃহস্থালীর ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। কমেছে সঞ্চয়। পূর্ববর্তী আর্থিক বছরের তুলনায় ২০২০–২১ আর্থিক বছরের হিসেবে দেখা গিয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ বেশি ঋণের বোঝা চেপেছে মানুষের উপর। দেশের জিডিপির সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই ঋণ প্রবণতাকে পরিমাপ করা হয়।

স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট এবং কয়েকদিন আগেই প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেবেও প্রকাশ পেয়েছে, ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের পরিমাণ কমছে ক্রমেই। যতই মিউচুয়াল ফান্ড অথবা অন্য লগ্নির হাতছানি আসুক, এখনও দেশের সিংহভাগ মানুষই অতিরিক্ত অর্থ সঞ্চয়ের লক্ষ্যে ব্যাঙ্কেই জমা করে। সেই প্রবণতায় ক্রমহ্রাসমান লক্ষণ দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ ব্যাঙ্কে জমার অঙ্ক কমেছে। তার অন্যতম কারণ হিসেবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিডে পেশাগত সঙ্কট ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যয় বৃদ্ধি।

বিগত আর্থিক বছরে যে ঋণের হার ছিল জিডিপির ৩৭.৩ শতাংশ, সেটিই পূর্ববর্তী আর্থিক বছরে ছিল ৩২.৫ শতাংশ। একটি পৃথক সমীক্ষা রিপোর্টে সোমবার জানা গিয়েছে, দেশের পরিষেবা সেক্টরের বৃদ্ধিহার এক ধাক্কায় নেমে এসেছে। মে মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন ছিল।

 

জুন মাস থেকে ধীরে ধীরে আংশিক ও পূর্ণভাবে আনলক হতে শুরু করে। কিন্তু জুন মাসে দেখা যাচ্ছে মে মাসের তুলনায় আরও কমেছে পরিষেবা সেক্টর। পরিষেবা সেক্টরের বৃদ্ধিহার কমে যাওয়ার সবথেকে বড় বিপজ্জনক দিক হল, কর্মসংস্থানে ধাক্কা। কারণ, একটানা করোনা ও লকডাউনের জেরে উৎপাদন ও অন্য সেক্টরের কর্মসংস্থান তলানিতে। সেই প্রেক্ষিতে একমাত্র পরিষেবা সেক্টরই আশাব্যঞ্জক কর্মসংস্থান দেখিয়েছে।