অবশেষে মুক্তি। ২ বছর ধরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে ছিলেন কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। ২০২০ সালে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করা এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে সিদ্দিক কাপ্পানের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তখন থেকে তিনি জেলবন্দি। একই সঙ্গে কাপ্পানের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলাও হয়েছিল। অন্য মামলায় জামিন পেলেও জেলেই থাকতে হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে দুটি মামলাতেই জামিন পেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর গ্রেফতার হন মালায়ালাম কাগজের সাংবাদিক কাপ্পান। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্ষিতা এবং নিহত এক দলিত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন কাপ্পান। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই মথুরায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গে ধর্মীয় কট্টরপন্থী দল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী সরকার কাপ্পানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগের মামলায় সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তারপরেও লখনউয়ের জেলেই থাকতে হয়েছিল কাপ্পানকে। ফলে হাথরস ষড়যন্ত্র মামলায় শীর্ষ আদালতে শর্তসাপেক্ষে জামিন পাওয়ার পরেও জেল থেকে ছাড়া পাননি তিনি। শুক্রবার অবশেষে তাঁকে জামিন দিল আদালত।