ওমিক্রন সংক্রমন বাড়ছে কলকাতাতেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে রাজ্যকে এবার চিঠি দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি পাঠিয়ে সংক্রমণ রোধে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ওপর নজরদারি এবং নমুনা পরীক্ষার উপর জোর দিতে বলেছেন তিনি।
বিদেশ ফেরত যাত্রীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোন্সিং এর জন্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। বিশেষ করে কলকাতা জেলায় সংক্রমন লাফিয়ে বেড়েছে গত দুই সপ্তাহে। সংক্রমন লাগাম টানতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।
দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে একের পর এক রাজ্য সংক্রমণ ঠেকাতে নাইট কার্ফু জারি করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার সংক্রমন মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা করোনার ডেল্টা রূপের কারণেই। এর সঙ্গে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়ালে তা আরও বিপজ্জনক হবে। অবিলম্বে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করলে পরিস্থিতি আবার ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংক্রমিত এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোন, বাফার জোন ঘোষনা করতে হবে। জোর দিতে হবে টিকাকরণে। স্বাস্থ্যসচিবের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতায় ১ ডিসেম্বর- ৭ ডিসেম্বর সংক্রমন ছিল ১৫০৮। ৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বর সপ্তাহে ১৬০৮ ছিল। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ ১৫ থেকে ২১ ডিসেম্বর ১৪৯৪ জন আক্রান্ত হন। আর ২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২৬৩৬ জন! সংক্রমণ বৃদ্ধির এই সংখ্যায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।