ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু তদন্তের দাবিতে এবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে চলেছে বাম ছাত্র–যুব নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থানা ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বাম নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে বামফ্রন্ট। ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের দাবি, গোপীনাথপুরে তাঁদের সংগঠনের ইউনিট সম্পাদক ছিলেন মইদুল। পেশায় ছিলেন অটোচালক। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা তাহমিনা বিবি, স্ত্রী আলেয়া বিবি এবং তিন কন্যাসন্তান। ১১ ফেব্রুয়ারি সকলের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যের অধিকার, চাকরির প্রতিশ্রুতি–সহ একাধিক দাবিতে নবান্ন অভিযান চালায় বাম ছাত্র–যুব নেতৃত্ব। পুলিশ তাতে বাধা দিতে গেলে ধর্মতলা চত্বরে দু’পক্ষ জড়ায় হাতাহাতিতে। পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামানে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। লাঠিচার্জের জেরে আহত হন বেশ কয়েকজন। তারই মধ্যে বাঁকুড়ার ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু হয়। যা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি।
মইদুলের দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। হাঁটুতে চোট ছিল। এমনটাই বলছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। ভিসেরা রিপোর্ট আসলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। আর নবান্নে অভিযানে নৃশংসভাবে পুলিশের লাঠির আঘাতেই মইদুলের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি বাম নেতৃত্বের। মৃত মইদুলের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। আমারও দুঃখ হয়েছে। চাইলে সরকারি চাকরি, আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে গরিব ছেলেটির পরিবারকে।’
নবান্ন অভিযানে মৃত মইদুলের শেষকৃত্য হবে আজ, বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাড়িতে। আর এক অভিযানকারী পাঁশকুড়ার এক ছাত্রনেতা এখনও নিখোঁজ। তাঁর খোঁজ পেতে মরিয়া পরিবার। পুলিশ কোনও খবর দিতে পারছে না। সবমিলিয়ে তপ্ত হচ্ছে রাজ্যের পরিস্থিতি।