দেশ ব্রেকিং নিউজ

বিহারের ফলে চাঙ্গা বামেরা

যাদের অপ্রাসঙ্গিক ভাবা হয়েছিল তারাই এবার বিহার নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে দেখা দিল। কারণ মাত্র ২৯টা আসনে লড়াই করে তারা জিতেছে ১৬ আসনে। অর্থাৎ, ৫৫.১৭ শতাংশে আসন জিতেছে বামেরা। মহাজোটের মধ্যে সব থেকে ভালো ফল বামেরাই করেছে।
বিহার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক অবধেশ কুমার সিং দাবি করছেন, ‘মহাজোটের মধ্যে বামেরা যদি আরও বেশি আসনে লড়ার সুযোগ পেত, ফল আরও ভালো হত।’ ১৯৯৫ সালে অবিভক্ত বিহারের নির্বাচনে শেষবার এত ভালো ফল করেছিল বামেরা। ২৬টা আসন জিতেছিল সিপিআই। দুটো আসন জিতেছিল সিপিএম। তারপর থেকে গত কুড়ি বছরে দেখা যায়নি। এবার বিহারে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল তারা।
বিহার নির্বাচনে এমন ফলাফলে উজ্জীবিত বাংলার বাম নেতৃত্বও। সংগঠন ও সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফার ক্ষেত্রেও বাড়তি জোর এনে দেবে বলে মনে করে বাম নেতৃত্ব। এই বিষয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে এনডিএ এগিয়েছিল ২২৩টি বিধানসভা আসনে। সেটা এক ধাক্কায় শ’খানেক কমেছে। মানুষের রুটি–রুজির সমস্যা নিয়ে লড়াই করেই ভালো ফল পেয়েছে বামপন্থীরা।’
উল্লেখ্য, বিহার নির্বাচনে ১৯টা আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিআইএমএল। তার মধ্যে তারা জিতেছে ১২টি আসন। আসনগুলি হল আগিয়াঁও, আরওয়াল, বলরামপুর, দারাউলি, দুমরাও, ঘোসি, কারাকাট, পালিগঞ্জ, ফুলওয়ারি, সিকতা, তারারি, জিরাদেই। ৬টা আসনে প্রার্থী দিয়েছে দিয়ে দুটো আসন জিতেছে সিপিআই। সেগুলি হল বাখরি এবং তেঘরা। চারটে আসনে লড়ে সিপিএম জিতেছে দুটি আসন, বিভূতিপুর এবং মাঞ্ঝি।
এই ফলাফলের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিআই (এমএল) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘সাধারণ, গরিব মানুষের সঙ্গে মাটি কামড়ে আমরা বিহারে লড়াই করেছি। তরুণ প্রজন্ম, কৃষক ও শ্রমিক অংশ থেকে আসা আমাদের প্রার্থীরাও মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।’