দেশ ব্রেকিং নিউজ

লালঝড়ে প্রায় অক্ষত বাম–দুর্গ

এলডিএফ ও ইউডিএফের মধ্যে প্রধান লড়াই হলেও মেট্রোম্যান ই শ্রীধরনকে সামনে রেখে এবার নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপিও। এক দফাতেই ১৪০টি আসনে ভোট গ্রহণ পর্ব সাড়া হয়েছে। এবার অপেক্ষা ফলাফলের। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, কংগ্রেস নেতা ওম্মেন চণ্ডী, কে সুরেন্দ্রন–সহ মোট ৯৫৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ।
তবে করোনা প্রতিরোধে দক্ষতার সঙ্গে সামলানোর পুরস্কার পেতে চলেছে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। এই মুহূর্তে যা ট্রেন্ড, তাতে পোস্টাল ব্যালট গণনার নিরিখে এই মুহূর্তে কেরলে এগিয়ে রয়েছে বামেরা। ইতিমধ্যেই ৬৬ আসন তাদের হাতে এসেছে। ৪১ আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস এবং বিজেপি ১ আসনে। অর্থাৎ কেরলে খাতা খুলল বিজেপি।
মাত্র ১ ঘণ্টার ব্যবধানে কেরলে বামেরা এগিয়ে ৮৩ আসনে এগিয়ে বামেরা। কংগ্রেস ৫০টি এবং বিজেপি ৩ আসনে। মাত্র ২০ শতাংশ পোস্টাল ব্যালট গণনার নিরিখে এই ফল। কেরল বিধানসভায় মোট আসন ১৪০। বিধানসভায় সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ৭১টি আসন। কেরলের লড়াই মূলত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বনাম সিপিএম নেতৃত্বাধীন লেফ্ট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচবে কেরলের ২০টি আসনের মধ্যে ১৯টিতেই জিতেছিল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী নিজে কেরলের ওয়াইনাড় থেকে জিতেছিলেন। তাই ২০২১ সালে ইউডিএফ–এর ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তুমুল। কিন্তু সমীকরণ বদলে যায় করোনার প্রথম ও দ্বিতীয়—দুপর্যায়েই। সরকার ও প্রশাসনের জনমুখী পরিকল্পনা পিনারাই বিজয়ন সরকারকে ফের ক্ষমতার কাছাকাছি এনে দেয়। বুথ ফেরত সমীক্ষাও তাই বলছে। রাহুল ম্যাজিকের আশায় কংগ্রেস হারানো জমি ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টায় নামলেও তা খুব একটা কাজ করছে না। অধিকাংশ বুথ ফেরৎ সমীক্ষা এগিয়ে রাখছে বাম–জোটকেই।