করোনার পর এবার চোখ রাঙাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে মূলত শিশুরাই। কিন্তু বয়স্করাও এখন অ্যাডিনোভাইরাসের কবলে পড়ছেন নিজেদের অজান্তে। কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। শিশু বিভাগগুলিতে ভিড় বাড়ছে প্রতি ঘন্টায়। জেনারেল বেড থেকে শুরু করে আইসিউ ও এনআইসিউ, কোথাও বেড খালি নেই। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বলা হয়েছে এই সময় বিভিন্ন ভাইরাস থেকেই শিশুদের গলা ও বুকের সংক্রমণ হয়। বর্তমানে সেই অসুখই বেশি মাত্রায় হচ্ছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানান হয়েছে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই সময় কি করতে হবে আর কি করবেন না, তা জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাসের মোকাবিলায় বারেবারে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বড়দের মতো শিশুদেরও বারবার হাত ধুইয়ে দিতে হবে। বাড়িতে কারও জ্বর, সর্দি-কাশি হলেই সকলকে মাস্ক পড়তে বলা হয়েছে। শিশুদের ভিড় এড়িয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে জামাকাপড় পরিবর্তন করে শিশুদের ছুঁতে হবে। কফ বা থুতু যেখানে সেখানে না ফেলাই ভাল। যে সমস্ত শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা আছে, বিশেষ করে তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে।
শুধু সাধারণ ক্ষেত্রে নয়, শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়লে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত তাও বলা করা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। কোনও শিশু অসুস্থ হলে বা জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই ভালো। স্কুলে পাঠানো বন্ধ করতে হবে। অসুস্থ শিশু বা বয়স্কদের থেকে অন্যান্য শিশু, গর্ভবতী মহিলাদের দূরে রাখুন। সর্দি-কাশি হলে হালকা গরম জলে নুন দিয়ে গার্গেল করতে হবে। তিন বছরের নিচে বয়স হলে হালকা গরম জল খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ান।