শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন ফুটবলার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। জানা গেছে, ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। প্রাক্তন ফুটবলারের রক্তচাপ স্বাভাবিক ছিল না। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল। মাঝেমধ্যেই অসংলগ্ন কথা বলতেন তিনি। অবশেষে আজ সকালে হার মানলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত।
বেশ কয়েকদিন আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি৷ তাঁর অবস্থা যথেষ্টই আশঙ্কাজনক ছিল৷ এর আগে সুরজিৎ সেনগুপ্তের ছেলে সিন্ধদেব সেনগুপ্ত জানিয়েছিলেন, ২০১১ সালে তাঁর বাবার শরীরে চারটি স্টেন্ট বসানো হয়েছিল৷ তার সত্বেও বাবা যথেষ্ট প্রানবন্ত ছিলেন। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেবজিৎ ঘোষ, আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার, মোহন বাগান অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত, মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সচিব দানিশ ইকবাল ও রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুব্রত বিশ্বাসদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সুরজিৎ সেনগুপ্তের চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
সুরজিৎ সেনগুপ্তের চিকিৎসায় প্রয়োজন হলে রাজ্য সরকারের তরফেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পিয়ারলেস হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তবে শুক্রবার রাত থেকে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত।
ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়দানে। গলফ গ্রীন এর উদয় সদনে তার মরদেহ রাখা হয়। শেষ শ্রদ্ধা জানাবে ক্রীড়াজগৎ থেকে সাধারণ মানুষ। 1968 সালে ময়দানে পা রেখেছিলেন তিনি। মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল পাশাপাশি মহামেডান স্পোর্টিংয়ের এর হয়ে খেলেছিলেন। পঁচাত্তরের শিল্ড ফাইনালে প্রথম গোল করেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে ডুরান্ড কাপ অধিনায়কত্ব করেছিলেন। 1978 সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ডুরান্ড কাপ জয় করেছিলেন। মহামেডান এর হয়ে ২ বার ট্রফি জয় করেছিলেন। সন্তোষ ট্রফিতে 26 টি গোল আছে তার। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রীড়াজগৎ।