করোনামুক্ত হয়ে নিউমোনিয়াকেও হার মানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। রবিবার সকালে ৯২ বছর বয়সে সুরলোকে পাড়ি দিলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর।
গত ৮ জানুয়ারি লতা মঙ্গেশকরের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা যায়। একটানা মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যার্থ করে থেমে গেল সব লড়াই।
হেমা মঙ্গেশকর নামে ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোরে জন্ম, পরে তিনি পরিচিত হয় মেলোডি কুইন আর ভারতের নাইটিঙ্গেল নামে ।১৯৪২ থেকে শুরু করে আমৃত্যু সুরের মায়ায় আর কোকিলকন্ঠী জাদুতে ভারত ছাড়িয়ে বিশ্বকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন তিনি।লতা ভারত ও ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী গায়িকা।সাত দশকের কর্মজীবনে ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পে তাঁর অবদানের কারণে তিনি অজস্র খেতাব পেয়েছিলেন।সবচেয়ে বেশি যা পেয়েছিলেন তা হল মানুষের ভালোবাসা আর সম্মান।তাই রবিবার সকালে তাঁকে হারিয়ে আজ শোকাচ্ছন্ন গোটা দেশ।
ভারতীয় সংগীত জগতে ঘোর অমানিশার দিন আজ। তাঁর প্রয়াণে দেশজু়ড়ে দু’দিন পালিত হবে জাতীয় শোক,ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সুরের সরস্বতীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোমবার সমস্ত সরকারি অফিস অর্ধদিবস ছুটি থাকবে এবং আগামী ১৫ দিন রাজ্যে সুরসম্রাজ্ঞীর গান বাজবে এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ‘ভারতের প্রয়াত আইকন ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরকে আমার অন্তরের শ্রদ্ধা। তাঁর পরিবার ও গোটা বিশ্বে তাঁর কোটি কোটি অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা।’
জানা গিয়েছে, ৬ এবং ৭ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। পালিত হবে রাষ্ট্রীয় শোক। আজ রবিবার সন্ধে সাড়ে ছ’টায় মুম্বইয়ের শিবাজী পার্কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে কিংবদন্তী শিল্পীর শেষকৃত্য। সেখানে কিংবদন্তি শিল্পীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে শোকপ্রকাশ করে লেখেন, “আমি ব্যথিত। এ যন্ত্রণা ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না। লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর চলে যাওয়ায় যে শূন্যস্থান তৈরি হল, তা পূরণ করা যাবে না। ”
ইতিমধ্যে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি লেখেন, “স্বর্গীয় সুর। অতুলনীয় মানুষ। একজন ভারতরত্ন। লতাজির কৃতিত্ব অতুলনীয়।”