বিহার নির্বাচনের আগে দুটি ঘটনা ঘটল। এক, রামবিলাস পাসওয়ান মারা গেলন। দুই, লালুপ্রসাদ যাদব জামিন পেলেন। নীতীশের সঙ্গে জোটে না থেকে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছেলে চিরাগ পাসওয়ান। আর জেল থেকে লালু কবিতা লিখেছিলেন, ‘উঠো বিহারি, করো তৈয়ারি।’ তিনি কী আগে থেকে বুঝতে পেরেছিলেন এমনটা ঘটবে? বিহার নির্বাচনের আগে এটাই এখন বড় খবর।
আদালত সূত্রে খবর, ৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত চাইবাসা ট্রেজারি মামলায় জামিন পেলেন লালুপ্রসাদ যাদব। কিন্তু তাঁকে এখনও জেলেই থাকতে হবে। সুতরাং খোলা আকাশের নীচে তিনি এখন আসতে পারবেন না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা ঝুলে রয়েছে। তাই হতাশ কর্মী–সমর্থকরা।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত চাইবাসা ট্রেজারি মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট শুক্রবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দেয়। হাইকোর্ট লালুপ্রসাদকে ৫০ হাজার টাকা করে দু’টি ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছে। জরিমানা বাবদ ২ লক্ষ টাকা জমা করতে বলা হয়েছে। আর লালুপ্রসাদকে ২ লক্ষ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালতও।
লালুপ্রসাদ ১৯৯২–৯৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় চাইবাসা ট্রেজারি থেকে জালিয়াতি করে ৩৩.৬৭ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।
এদিকে দুমকা ট্রেজারি তছরুপ মামলায় তিনি ১৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। লালুপ্রসাদ যখন ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সময়ে পশুপালন দফতরের আধিকারিকরা দুমকা ট্রেজারি জালিয়াতি করে সাড়ে তিন কোটি টাকা তছরুপ করেছিলেন।
অন্যদিকে লালুপ্রসাদ সরকারি তহবিল নয়ছয় করার অভিযোগে ৬টি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৭ সাল থেকে জেলে রয়েছেন লালুপ্রসাদ। আপাতত পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তিনটি মামলায় সাড়ে ৩ বছর, ৫ বছর ও ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর। ২০১৩ সালে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট দেওঘর ট্রেজারি মামলায় তাঁকে জামিন দেয়। ওই মামলায় তাঁর সাড়ে তিন বছরের জেল হয়। তাঁর দণ্ডের অর্ধেকেরও বেশি ভোগ করা হয়ে গিয়েছিল বলে তাঁকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। সুতরাং আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লালুপ্রসাদ সরাসরি জড়িত থাকতে পারবেন না।
