এবার মাত্র আটদিনেই এক কোটি। নাম নথিভুক্তির দিক থেকে রীতিমতো রেকর্ড গড়ল ‘দুয়ারে সরকার’। রাজ্যজুড়ে আয়োজিত শিবিরগুলিতে মোট রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা কোটি ছাপিয়ে যায়। সন্ধ্যা সাতটায় তা দাঁড়ায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯১৯-তে। তার মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি আবেদন শুধু ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ আবেদনে। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির সংখ্যা ৬০ লক্ষ ছাড়িয়েছে বলে দাবি নবান্নের।
একছাতার তলায় সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত শিবিরগুলি নিয়ে মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। মাত্র আটদিনে সেখানে আবেদনের সংখ্যা কোটি ছাপিয়ে যাওয়া সেই উন্মাদনারই প্রমাণ বলেই মনে করছে রাজ্য। এহেন সাফল্যের জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মাধ্যমে জেলাশাসক ও সরকারি আধিকারিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বিঘ্নে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চালিয়ে যাওয়ার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি শিবিরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আশাকর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, কন্যাশ্রী পাওয়া ছাত্রীদের কাজে লাগাতে হবে। বিভিন্ন পরিষেবার ফর্ম পূরণে আবেদনকারীদের সাহায্য করবেন তাঁরা। বাড়ানো হচ্ছে ক্যাম্পের সংখ্যাও। ক্যাম্পের বাইরে লাইনে করোনাবিধি মানার ব্যাপারেও জোর দিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
উল্লেখ্য, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের চাহিদার ক্ষেত্রে অন্য সব প্রকল্পকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। সাধারণ ঘর এবং তফসিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে যথাক্রমে ৫০০ এবং ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে। ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনী ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেদনের নিরিখে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর পরেই রয়েছে খাদ্যসাথী। ভাইফোঁটার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেকটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু হতে চলেছে।