শুক্রবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানা যায়নি। সকাল ১১টা নাগাদ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ৬ তলা থেকে ওই মেডিক্যাল ছাত্রীকে পড়ে যেতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মানসিক অবসাদ থেকে এই আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পিজিটি’র ওই ছাত্রীর নাম পৌলমী সাহা। আজ তাঁর ফিভার ক্লিনিকে ডিউটি ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। শিশু বিভাগের সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে তিনি ডিউটি করতেন। রাজ্যজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। যার ফলে চাপ সৃষ্টি হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরেও। এমন পরিস্থিতি চিকিৎসকের আত্মহত্যায় প্রশ্নের মুখে পড়ছে হাসপাতাল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মহিলা চিকিৎসক কী করোনায আক্রান্ত হয়েছিলেন? তাই অবসাদ তৈরি হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী—হঠাৎ জোরে একটা কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শোনা গেল। তার পর সেখান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালের মধ্যে এমন এক ঘটনা ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অবসাদ থেকে আত্মহত্যা? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
